ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির সমাবেশ কমলাপুর নাকি বাংলা কলেজ মাঠে?

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
বিএনপির সমাবেশ কমলাপুর নাকি বাংলা কলেজ মাঠে? সমাবেশস্থল নির্ধারণ নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির প্রতিনিধিদল

ঢাকা: আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের স্থান নির্বাচন নিয়ে জটিলতা কেটেছে। অবশেষে দলটির এই সমাবেশ কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আমাদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের বৈঠকে আমাদের প্রথম দাবি ছিল বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ করা। কিন্তু এতে তারা রাজি হননি। তারা বলেছেন, পার্টি অফিসে যেতে পারেন কিন্তু সেখানে সমাবেশ নয়। গতকালকের পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে৷

আমরা বলেছি পল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান না। তারা বলেছেন, পল্টন নয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। পরে আমরা আরামবাগের কথা বলেছি, সেটাতেও তারা রাজি হননি। সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের প্রস্তাব দিলেও রাজি হননি। তারা আমাদের বাংলা কলেজ মাঠ প্রস্তাব করেছেন।

বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, আমরা এ সময় কমলাপুর স্টেডিয়াম মাঠের নাম প্রস্তাব করেছি৷ তারা বলেছেন, বিষয়টি তারাও ভেবে দেখবেন। এখন যেটা পছন্দ হয় সেটা আমরা ঠিক করবো। ১০ তারিখ সমাবেশ হবেই।

তিনি বলেন, আমরা অনেকগুলোর নামই প্রস্তাব করেছিলাম কিন্তু পল্টন, আরামবাগ বাদ গেলো। বাকি থাকলো কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাংলা কলেজ। দুটো স্থান আমরা আজ রাতেই পরিদর্শন করব। যেটা পছন্দ হয় রাতেই সিদ্ধান্ত নেব। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা সমাবেশ করব না, এটা দলীয় সিদ্ধান্ত।

তাহলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত থেকে বিএনপি সরে আসল কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, রাজনীতিতে অনেক স্ট্যান্ডবাজি থাকে। পুলিশ পল্টনে সমাবেশ করতে দেবে না, আর আমাদের স্ট্যান্ড সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাব না। আমরা এখন মাঠ দুটি পরিদর্শন শেষে স্থায়ী কমিটিকে জানিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

গ্রেফতার নেতাকর্মীদের বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের ব্যাপারেও কথা হয়েছে। আজকে দুজনের জামিন হয়েছে। আর নতুন কোনো মামলা দেবে না এবং আমাদের উকিল কোর্টে দাঁড়ালে আগামী সোমবারের মধ্যে বাকিদের জামিন হয়ে যাবে। তারা রিমান্ডও চাইবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রকত উল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সাক্ষাৎ চেয়ে ডিএমপির সদর দপ্তরে পৌঁছায়। প্রতিনিধিদলের বাকি সদস্যরা হলেন—ডা. জাহিদ, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম, এ জে মোহাম্মদ আলী।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২২
পিএম/আরএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।