ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

কবিতা

বৃষ্টিস্নাত কবিতা সন্ধ্যায় রক্তে প্রেমের ঢেউ

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
বৃষ্টিস্নাত কবিতা সন্ধ্যায় রক্তে প্রেমের ঢেউ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। দুপুরে রোদের দেখা মিললেও বিকেলে শুরু হয় বৃষ্টি, সঙ্গে শীতল বাতাস।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এমন উদাস বৃষ্টিস্নাত বিকেল থেকেই রাজধানীর পরীবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে বাড়তে থাকে প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের পদচারণা।

তবে সবাই যেন ব্যস্ত রাজধানীর নিত্য কোলাহল ছেড়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন কাব্যিক জগতে। মাটির গন্ধে কথা বলছিলেন নিজেদের ভাষায়। সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন ‘দিয়াড়’র আয়োজনে ‘আজ কবিতা সন্ধ্যা’য় যে তাদেরই কবিতা পাঠ।

কবিতার পাশাপাশি মাটির গন্ধ নিতে আয়োজন বসে সংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রের খোলা মাঠে। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় কিছুটা বাধা পড়ে আয়োজনের। কিছুক্ষণ মন ভার করে বসে থাকা। অবশেষে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই শুরু হয় আয়োজন।

কবি, কবিতা আর শ্রোতা সবাই মঞ্চে। বৈঠকী ঢংয়ের এ আয়োজন জমে ওঠে কবিতা আর কথায়। এগুলো দিয়ে মালা গাঁথেন সংগঠনের সদস্য সচিব আনোয়ার হক। তার মনো মুগ্ধকর উপস্থাপনাও সবাইকে আকৃষ্ট করে।     

ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে নিজের লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, মোহন রায়, রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন, আপেল আবদুল্লাহ, ভাস্কর চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, আশরাফ জুয়েল, চন্দ্রশিলা ছন্দা, এসআই শহীদ।

রাত অব্দি চলা কবিতা সন্ধ্যায় সবশেষ আয়োজন ছিলো ভারতের গুণী আবৃত্তিকার সৌমিত্র ঘোষের বিশেষ পর্ব। কলকাতার অন্যতম এ বাচিক শিল্পী সুরের মূর্ছনায় আবৃত্তি করেন এপার-ওপার বাংলার অনেক কবিতা।

একে একে সমাপন, বিনোদিনীর প্রতি, ২৬ নম্বর চিঠি, সম্পর্ক, গরীবগঞ্জের রূপকথা, দুই বাংলা আবৃত্তি করে জয় করে নেন দর্শক মন।

কবিতা আবৃত্তির ফাঁকে ফাঁকে চলে গুণীজন আলোচনাও। একুশে পদক পাওয়া বাঙালির জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ‘সমকালীন বাংলা কবিতায় পুরানোদের দিন প্রায় শেষ। শুরু হয়েছে নতুনদের, নতুন শতকের, নতুন দশকের কবির দিন। ’

‘নতুনদের অন্যরকম ভাষা, অন্যরকম নির্মাণ, অন্যরকম তৎপরতা দেখছি। নতুনদের হাতে সযত্নে চর্চ্চায় নতুন বাঁক নেবে বাংলা কবিতার। আমার এক কথা, খেয়ে ফেলতে হবে রবীন্দ্রনাথদের মতো রুই মাছদের। ’

দিয়াড়-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক নাট্যজন অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জাতীয়ভিত্তিক এ সংস্থার মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে এ আয়োজন। আগামীতে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে লোকগান উৎসব। ’

এছাড়া এ বছরই ঢাকায় প্রথম জাতীয় গম্ভীরা উৎসব আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে দিয়াড় আহ্বায়ক মুখলেসুর রহমান মুকুল, পৃষ্ঠপোষক ড. অধ্যাপক মেসবাহ কামালসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কবিতা এর সর্বশেষ