ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অন্যান্য দল

শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বাসদের কর্মসূচি পালন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বাসদের কর্মসূচি পালন বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাসদের সমাবেশ। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: ত্রাণ চোরদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, বাজারের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, শেবাচিম হাসপাতালে ২০০ ভেন্টিলেটর স্থাপনসহ বিভিন্ন দাবিতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতীকি মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাসদ বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বাসদ বরিশাল জেলা শাখার আহবায়ক ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. মনীষা মনীষা চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাসদের সদস্য সন্তু মিত্র, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ছাত্র ফ্রন্টের মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আহমেদ।

বাসদ আহবায়ক ইমরান হাবিব রুমন বলেন, প্রতিদিনই চাল, ডাল, তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এক সপ্তাহে পাইকারী বাজারে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬ টাকা, ডালে ১৪ টাকা, পিঁয়াজ ২৫ টাকা, তেল ১০ টাকা, লবণ ৪ টাকা বেড়েছে। প্রশাসনকে জানানোর পরও বাজার নিয়ন্ত্রণে কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। আবার অপর্যাপ্ত ত্রাণ প্রদানেও স্বজনপ্রীতি এবং দলীয়করণ করা হচ্ছে।

সমাবেশে অবিলম্বে করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায় সর্বদলীয় সমন্বয় কমিটি গঠনের দাবিও জানান তিনি।

সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে আধুনিকীকরণের কথা বলেছি। প্রতিদিনই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই বরিশালে এক হাজার শয্যার বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল চালু করেই এই সংকট মোকাবেলার পাশাপাশি করোনা ইউনিটে আইসিইউ এবং দু’শ ভেন্টিলেটর স্থাপন করার জরুরি। এলাকায় এলাকায় জ্বর, সর্দি, কাশির রোগী থাকলেই বা কারোর সন্দেহ হলেই যেন পরীক্ষা করতে পারে তাই প্রতিদিন অন্তত এক হাজার টেস্টের ব্যবস্থা করা দরকার। এলাকায় এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক টিম করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার।

সমাবেশে বাসদ নেতারা চাল, ডাল, তেল, আলু, পিঁয়াজ, লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ, ত্রাণ চোরদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান; ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা করে প্রত্যেক পরিবারকে প্রয়োজন অনুযায়ী সাপ্তাহিক ত্রাণ সরবরাহ করা; বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে যুক্ত করে করোনা মোকাবেলার উদ্যোগ নেয়া; বরিশালে এক হাজার শয্যার বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল চালু, করোনা ইউনিটে আইসিইউ চালু এবং দু’শ ভেন্টিলেটর স্থাপন, করোনা ল্যাবে প্রতিদিন অন্তত একশ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত পিপিই এবং আবাসন, পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা; স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ করোনা দূর্যোগ মোকাবেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার ঝুঁকিভাতা নিশ্চিত করা; সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বছরের সব ফি মওকুফ করা; প্রতি মণ ধান ১২০০ টাকা দরে খোদ কৃষকের কাছ থেকে কেনা এবং সব কৃষি ঋণ মওকুফ করা; বকেয়া বেতনসহ সব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা; পাড়া-মহল্লায় জীবাণুনাশক ও মশার ঔষধ স্প্রে করা, স্বাস্থ্যকর্মী টিম তৈরি করে ‘করোনা স্ক্রিনিং’ কার্যক্রম শুরু করা।

অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণসহ এসকল দাবি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমাবেশ থেকে আহবান জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
এমএস/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ