ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

মুক্তমত

বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে পরিবহন মালিকরা ভীতসন্ত্রস্ত

ড. সেলিম মাহমুদ, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে পরিবহন মালিকরা ভীতসন্ত্রস্ত

বিএনপি জামায়াত নির্বাচন প্রতিহত করার নামে দেশে অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। হাজার হাজার নারী-শিশু বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়েছিল।

বিএনপি ট্রেনে আগুন দিয়েছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে, আগুন দিয়েছে লঞ্চে, চলন্ত বাসে আর সে আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল অসংখ্য মানুষ। এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সেও আগুন দিয়েছে।

বিএনপির এই অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে পরিবহন মালিকসহ সাধারণ মানুষ আতংকিত। এ কারণে আজ যখন বিএনপি আন্দোলনের নামে আবার মাঠে নেমেছে, তখন লঞ্চ মালিক, বাস মালিক, ট্রেনের চালক, মালবাহী ট্রাকের মালিক সবাই আতংকিত। সেজন্য তারা তাদের পরিবহন বন্ধ রাখছে। বিএনপির সন্ত্রাসকে তারা তাদের পরিবহন ব্যবসার প্রধান অন্তরায় মনে করছে। অগ্নি সন্ত্রাসের জন্য মানুষ বিএনপিকে মানবতার শত্রু মনে করছে। বিএনপিকে তারা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছে না। বিএনপি আজ এক আতঙ্কের নাম।  

পরিবহন ব্যবসায়ীরা বিএনপির আন্দোলনে চরম ভীতসন্ত্রস্ত। তারা জানে তাদের মালিকানাধীন পরিবহন হামলার শিকার হলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা পথে বসবে। তারা এও জানে এই অগ্নিসন্ত্রাসে শুধু সম্পদ নয়, মানুষের জীবনও বিপন্ন হবে।

সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে। গণপরিবহন ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই খাতে জড়িত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মচারী এবং তাদের পরিবার পথে বসবে। সার্বিকভাবে দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত সহ সকলেই সংকটের সম্মুখীন হবে। বিএনপির সন্ত্রাসের আশঙ্কার কারণে পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা তাদের পরিবহন রাস্তায় নামাতে ভয় পায়। তারা অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো পরিস্থিতি এড়িয়ে দেশের পরিবহনখাতকে নিরাপদ রাখতে চান। পরিবহন মালিকরা বিএনপির আন্দোলনের সময় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে রক্ষাসহ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএনপি'র অগ্নি সন্ত্রাসে দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ এখনো শোনা যায়। অগ্নিদগ্ধ মানুষের কান্না আজও থামছে না । অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত মানুষের পরিবারের আর্তনাদ এখনো থামছে না। আমরা কি ভুলে গেছি সেই ভয়ংকর দিনগুলোর কথা? ২০১৩ থেকে ২০১৫  সাল পর্যন্ত বিএনপি যখন সারাদেশে পেট্রোল বোমা অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানবতা তখন ডুকরে ডুকরে কেঁদেছিল। সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা কি আমরা ভুলে গেছি? অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কাতরানো নারী শিশুর কথা, অগ্নিদগ্ধ মানুষগুলোকে বাঁচানোর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রাণান্তকর চেষ্টার কথা কি আমরা ভুলে গেছি? এই অগ্নিসন্ত্রাসের সাক্ষী হয়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট। এটি আজ ইতিহাসের সাক্ষী।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।