ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

মুক্তমত

শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যা

এনামুল হক শামীম এমপি, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যা

বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বাঙালির আশার বাতিঘর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ঘর আলোকিত করেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুভ শুভ শুভ দিন, আজ বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যার জন্মদিন, বাঙালির আশার বাতিঘরের শুভ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি শতায়ু হোন। দেশের জন্য আপনাকে প্রয়োজন। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারিয়েছি। সেই হারানোর অপূর্ণতা এই দেশ এই জাতি কখনো পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে ১৭ কোটি বাঙালির অভিভাবক হিসেবে আপনাকে সামনে রেখেই আমরা পথ চলছি সফলতার সাথে।  
 
দেশ আজ আপনার হাত ধরে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিদেশিরা এখন বিনিয়োগের জন্য আমাদের পেছনে ঘুরছে। কারণ আপনি বাংলাদেশকে সেই সক্ষমতার জায়গায় নিয়ে গেছেন। বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু নির্মাণে যে অসীম সাহসিকতা দেখিয়েছেন তাতে বিশ্বনেতারা আজ হতবাক। আজ সেই স্বপ্নের সেতু দৃশ্যমান। অর্থায়নে পিছপা হওয়া সেই বিশ্বব্যাংক আজ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে পদ্মা সেতুতে ঋণ না দেওয়া তাদের ভুল ছিলো। দেশের মানুষ যা স্বপ্নেও ভাবেনি- নদীর নিচে বঙ্গবন্ধু টানেল হবে এই বাংলাদেশে। অথচ আপনার হাত ধরে তা আজ বাস্তবায়নের পথে। শিক্ষা এবং চিকিৎসায় দেশ এগিয়েছে অনেক দূর। বিনামূল্যে শিক্ষা তথা অবৈতনিক শিক্ষা আজ বুলি নয়, বাস্তবতা। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। কমেছে মাতৃমৃত্যুর হার। বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু। ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে কৃষকের জন্য খুলে দিয়েছেন এক নতুন জগত। মোবাইল ফোনকে এত সহজলভ্য করেছেন যে, ফসলের মাঠ থেকেই কৃষক জানতে পারে ফসলের মূল্য। ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য থেকে কৃষক আজ মুক্ত। ডিজিটাল টাকা যা ছিলো শুধু উচ্চবিত্তদের এটিএম কার্ডে, আজ তা মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে মোবাইল ব্যাংকিং এর কল্যাণে।

উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে মহাকাশেও চলছে দেশের জয়যাত্রা আপনারই হাত ধরে। আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ এর সাহায্য নিচ্ছে অন্যান্য অনেক দেশ। শুধু কি তাই! বিশাল সমুদ্রের নিরাপত্তায় মাথা উঁচু করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দু দুটো সাবমেরিন। সেই হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে বাংলাদেশ আজ ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার আশ্রয়দাতা। শুধু তাই নয়, তাদের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসারও জোগানদাতা এই বাংলাদেশ। তাই আপনি মাদার অব হিউমিনিটি। সরকারি অর্থায়নে পাকাঘরসহ বাড়ি দিচ্ছেন ভূমিহীনদের। যা বিশ্বের নতুন নজির। তবে উন্নয়নের এই মহাসড়কের যাত্রাটা সব সময় কুসুমাস্তীর্ণ ছিলো না। এসেছে অনেক বাধা, অনেক বিপত্তি। এসব বাধ-বিপত্তিকে আপনি গুড়িয়ে দিয়েছেন, গুড়িয়ে দিচ্ছেন অদম্য সাহসিকতায়। পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলো বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত করার। আপনি সেই ষড়যন্ত্রের মুখে কুঠারাঘাত করেছেন। জঙ্গির বংশকে করেছেন সমূলে নির্মূল।

রূপকথাকেও হার মানায় বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনগাথা। গল্পের দুঃখিনী রাজকন্যার দুঃখকষ্ট, রোমাঞ্চকর নানা ঘটনাও যেন ম্লান তাঁর জীবনকাহিনীর কাছে। তাঁর মা-বাবা, ভাইসহ নিকটাত্মীয়দের একই দিনে হত্যা করা হয়। নিজেও হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হয়েছেন ২১ বার। খুব কাছ থেকে প্রিয় সহকর্মীদের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছেন। অবৈধ শাসকের বিরোধিতা করতে গিয়ে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার এক নিভৃত পল্লী থেকে উঠে এসে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করেছিলেন পরাধীনতা থেকে, বাঙালিকে এনে দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন দেশ। অথচ পিতার মৃত্যুর পর দীর্ঘ সময় সেই দেশে তিনি ফিরতে পারেননি। তাঁকে প্রতিবেশী একটি দেশে আশ্রিত জীবন যাপন করতে হয়েছে। এমন অসংখ্য ঘটনার অভিজ্ঞতায় পূর্ণ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ বছরের জীবন। তবে এসব কোনো কিছুই তাঁর পথচলাকে রুদ্ধ করতে পারেনি। দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন দৃঢ়তার সঙ্গে।

বাংলার মানুষের কাছে যার রয়েছে তার বহু পরিচয়, বিশ্বের মানুষ তাকে চেনেন বহু উপাধি ও উপনামে। কখনো তিনি জোয়ান অব আর্ক, কখনো তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি। আবার কখনো তিনি প্রাচ্যের নতুন তারকা। বিশ্ব সংস্থায় আবার তিনি পরিচিত শান্তি বৃক্ষ (পিস ট্রি) নতুবা চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ। কিন্তু এসব উপাধিকে ছাড়িয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর হাচু বা হাচিনা আর বাঙালির হৃদয়ে তিনি প্রোথিত হয়ে আছেন ‘শ্যাখের বেটি হাচিনা’ (শেখের বেটি হাসিনা) হয়ে, যা আর সব উপাধিকে নিঃসন্দেহে নিষ্প্রভ করে দিয়েছে। কিন্তু এই শেখের বেটির গল্পটি রচিত হয়েছে মাত্র কয়েক দশকে। কণ্টকাকীর্ণ এই রাজনৈতিক ময়দানে তার আবির্ভাবের কথা আমরা তার মুখ থেকেই শুনতে পাই। “আমার ৭২ বছর জীবনের ৬০ বছরই কেটেছে রাজনীতিতে। স্কুল থেকে রাজনীতি শুরু করেছি, এখনো অব্যাহত। রাজনীতিতে কে কী করেছে অনেক ঘটনা নিজ চোখে দেখেছি। ”

জাতির পিতাকে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। এর আগেই ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। জাতির পিতাকে হারিয়ে তখন ধুকছে আওয়ামী লীগ। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বিধ্বস্ত এ দলটিকে পুনর্গঠন করা তরুণ শেখ হাসিনার জন্য সহজ কাজ ছিলো না। একদিকে সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই, অন্যদিকে দলকে সংগঠিত করা। ফলে দলে নিজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাও ছিলো তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো একযোগে মোকাবেলা করতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। তিনি বিচক্ষণতা, বুদ্ধিমত্তা ও ধৈর্য্যরে সঙ্গে একে একে সব বাধাই ডিঙ্গিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বেই ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। পিতার রাজনীতি তার অস্তিমজ্জায়। তার বাবার রাজনৈতিক উত্থান নিজের চোখে তিনি দেখেছেন। কীভাবে বঙ্গবন্ধু তার রাজনীতির গগণ পথে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে কীভাবে সবাইকে পেছনে ফেলে একদল বিশ্বস্ত সহযোগীদের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর শেখ হাসিনার দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মধ্যে দিয়েই মূলত উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণের এক অবিশ্বাস্য যাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে মনোনিবেশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের আগেই দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। তাই ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে প্রকল্প এগিয়ে কাজও শুরু করেছেন। এই জাতির পিতার ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত একটি সুখি সমাজ গঠনের লক্ষ্য পূরণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। এ উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা ৩৮ বছর ধরে নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে শুধু উপমহাদেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের নজর কাড়েন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক জোট-দলগুলো ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে চূড়ান্ত বিজয়ী হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন আন্দোলন-সংগ্রাম করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন। আইনি বাধা অপসারণের জন্য সংবিধান বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে, সেই কালো আইন ও কলঙ্কময় অধ্যায় ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ রহিতকরণ বিল’ সপ্তম সংসদে উত্থাপন করেন। ওই বছর ১২ নভেম্বর আইনটি সংসদে পাস হয় এবং ১৪ নভেম্বর মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর এটি পরিপূর্ণভাবে আইনে পরিণত হয়। ফলে বিশ্বাসঘাতক খুনি জিয়া-মোশতাকের মাধ্যমে জারি করা এবং মেজর জিয়াউর রহমানের সময় বৈধতা পাওয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হয়। আর এভাবেই ওই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বিলুপ্ত করার মাধ্যমে শুরু করে বাঙালি জাতির কলঙ্ক মোচনের কাজ। স্বাধীনতাকামী বাঙালির আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে বাংলাদেশের অশুভ ছায়া যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধী, চিহ্নিত রাজাকারদের বিচারের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরবর্তী প্রজন্মকে অভিশাপমুক্ত করেন একমাত্র শেখ হাসিনা। ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষেরও বেশি নারী মুক্তিযোদ্ধার সম্ভম বিনাশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে তার সঠিক স্রোতধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিটি সময়ে মিনিটে-মিনিটে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে।

শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে মাথা উঁচু করে কীভাবে পশ্চিমাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সঠিক বিচারের মাধ্যমে মানবতাবিরোধীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলাতে হয়। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি কতোটুকু দায়িত্ববান হলে নিজ দলের কোনো নেতাকর্মী অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হলেও আপোসহীনভাবে কীভাবে আইনের আওতায় আনতে হয় এটি একমাত্র শেখ হাসিনাই আমাদের সামনে উদাহরণ। পাকিস্তানের জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে, বার বার মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালে অধিকার বঞ্চিত বাঙালিদের যেভাবে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ঠিক তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের যেখানেই মানুষ তার অধিকার বঞ্চিত হবে, যেখানেই শোষণ আর নির্যাতনের শিকার হবে, নিষ্পেষিত হবে মানুষ আর মানবতা ; সেখানেই ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই শুভ কামনায় শুভ জন্মদিন।

একটি কাঙ্খিত স্বপ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরাধিনতার শৃঙ্খল ভেঙে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে তা পুরণ হয়েছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ধাক্কা ছিলো। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো। সেই আকঙ্খার পরিণত যিনি জাতির পিতাতে পরিণত হয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে ৩০ লক্ষ শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতো না। ইতিহাসের নৈবিত্ত সাজানো, সেটা হচ্ছে সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন। সেটা বাস্তবায়ন হতো না। তাকে ঘিরে এগিয়ে যেতে হবে।

পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বাংলাদেশ ও বাঙালিদের কল্যাণ কামনা করেন। জনগনের মঙ্গল কামনায় সব সময় তিনি নিয়োজিত থাকেন। যার সর্বশেষ প্রমাণ মেলে ভারত সফরে আজমীর শরিফ দরগাহ’এ গিয়ে দেশের জনগণের জন্য দোয়া চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একজন রাজনীতিক, যিনি মহাকাশে স্যালেটাই  পাঠান, আবার নিভৃত পল্লীতে একজন বিধবা মহিলা, স্বামী পরিত্যাক্ত, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতা পেলেন কিনা? কোন ভূমিহীন ঘর পেলেন কিনা সেটারও খোঁজখবর রাখেন। তিনি ভবিষ্য প্রজন্মের জন্য কাজ করেন।

আসুন শেখ হাসিনাকে আলোকবর্তিকা ধরে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি। ইতিহাসের নৈতিত্ত যে সাজানো বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাত ধরে। শেখ হাসিনাকে আলোক বর্তিকা ধরে নিয়ে অন্ধকার অনামিষাকে পাড়ি দেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অপ্রতিরোধ যাত্রায় দুর্গম পথে তাকে ঘিরেই এগিয়ে যাবো এটাই হোক আজকের প্রত্যাশা।

শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আল্লাহ আপনার দীর্ঘায়ু দান করুন-আমিন।  

লেখক: উপমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ;
সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও সাবেক ভিপি, জাকসু।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।