ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

পি কে হালদারের আড়ালের গুরু ও মাফিয়া পতন কাহন

নঈম নিজাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
পি কে হালদারের আড়ালের গুরু ও মাফিয়া পতন কাহন নঈম নিজাম

পি কে হালদারের কা-কীর্তি দেখে পুরনো এক চোরের গল্প মনে পড়ল। এ চোর আবার রবীন্দ্রভক্ত! কথায় কথায় রবীন্দ্রনাথকে টানতেন।

পুলিশ আটক করলেও শোনাতেন রবীন্দ্রনাথ। আবার বিচারকের জেরার সময়ও রবীন্দ্রনাথ। কারাগারে গেলেও নিস্তার নেই। জেলারের প্রশ্নের উত্তরও রবীন্দ্রনাথে। একবার সেই চোরের জেল হলো। জেলার প্রতিদিন সকালে নবাগতদের কেস শুনতেন। তাকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কী কারণে জেলে এলে? জবাবে চোর বললেন, হুজুর, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্ররোচনায় আমার এই পথে আসা। রবীন্দ্রনাথ না শুনলে ঝামেলায় পড়তাম না।

জেলার বিস্মিত। বললেন, বল কী! চুরির সঙ্গে রবিঠাকুরের সম্পর্ক কীভাবে? এমন কথা তো জীবনেও শুনিনি। জবাবে চোর বললেন, হুজুর, আমি সত্য বলছি। চোর হলেও মানুষ খারাপ নই। কাহিনি শতভাগ সত্য। ঝামেলার শুরু এক মধ্যরাতে রবীন্দ্রসংগীত শুনতে গিয়ে। হঠাৎ মাঝরাতে শুনতে পেলাম, ‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে... । শুনে ভাবলাম এই তো সুযোগ। বেরিয়ে এলাম আমিও ঘর থেকে। সুনসান নীরবতা চারদিকে। সবাই বনের দিকে ছুটছে জ্যোৎস্না দেখতে। এমন সময় এক বাড়ি থেকে ভেসে এলো গান, ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো, আমার ঘরে...। ’

এ গান শুনে বাইরে থাকতে পারলাম না। দেখতে গেলাম কেন এলো ভেতর থেকে এ ডাক। বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলাম। গান তখনো চলছে। পরের গানটি ছিল, ‘এবার উজাড় করে লও হে আমার যা কিছু সম্বল...। ’ হুজুর, এরপর আর বসে থাকা যায় না। আমি নেমে গেলাম কাজে। বাড়ির সবকিছু নিয়ে নিলাম। বের হতেও সমস্যা হয়নি। কারণ পরের গানটি ছিল, ‘আজ দখিন দুয়ার খোলা...। ’ সামনের দরজা দিয়ে সবার ফেরার সময় ঘনিয়ে এসেছিল। পেছনের দরজা খোলা। আমি মালপত্র নিয়ে চলে এলাম পেছনের দরজা দিয়ে। কিন্তু বিপদে পড়লাম পুলিশকে নিয়ে। তারা আমাকে ধরে ফেলল। তাদের আমার যুক্তিগুলো বললাম। কেউ আমার কথা শুনতে চাইল না। আদালতে পাঠাল। আদালত জেল দিল। তাই এখন আপনার সামনে।  চোরের কাহিনি শুনে জেলার বিস্মিত হলেন। বললেন, বাবা, তোমার প্রতিভায় মুগ্ধ হলাম। আশা করি আর চুরি করবে না। জেলে আসবে না। বাকি জীবন শান্তিতে ভালোভাবে থাকবে। এ জীবনে তোমার চেহারা আর জেলে দেখতে চাই না।

নিজের প্রতিভাটা ভালো কাজে লাগাও। জবাবে চোর বললেন, হুজুর, সবকিছু কি আমার ওপর নির্ভর করে? আড়ালে একজন আছেন, তিনি আমার গুরুজি। আমি গুরুজির ভক্ত হিসেবে তাঁর বাণীর বাইরে যাই কী করে? যদি আবার শুনি, ‘এ পথে আমি যে গেছি বারবার, ভুলিনি তো একদিনও...। ’ তারপর কী হবে আমার অবস্থান? এখন কী করে নিশ্চয়তা দিই? তাজ্জব বনে গেলেন জেলার সাহেব। কথা আর বাড়ালেন না। বললেন, বাবা, ঠিক আছে তুমি থাকো গুরুজি নিয়ে। এ গল্পের পুরোটাই কাল্পনিক। তার পরও পি কে হালদারের অবস্থান দেখে মনে পড়ল অনেক দিন আগে শোনা গল্পটি। হালদার সাহেবের সমস্যাও গুরুজি নিয়ে। হালদার সাহেব আইনজীবী দিয়ে খবর দিচ্ছেন সরকারকে- তিনি দেশে ফিরে আসতে চান। সরকার পড়েছে বিপাকে। ভয় দেশে ফিরে আবার নতুন কী কান্ড করে বসবেন হালদার সাহেব, কেউ জানে না। কারণ হালদারেরও একজন গুরুজি আছেন। আড়ালে থাকা গুরুজির কথায় চলেন হালদার। গুরুজির কথার বাইরে যাবেন কী করে?

সকালবেলা পত্রিকা পড়তে গিয়ে গান শুনছিলাম। হেমন্তের সেই ভরাট কন্ঠ, ‘বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও, মনের মাঝেতে চিরদিন তাকে ডেকে নিও, ভুলো না তারে ডেকে নিতে তুমি। ’ বাস্তবে কি পথের সাথীকে সবাই চিনে নিতে পারে? পি কে হালদারও কি পেরেছিলেন? চারপাশের কঠিন বাস্তবতা মনের ভিতরে অনেক প্রশ্ন তৈরি করছে। করোনাকাল মানুষের আরও বেশি অস্থিরতা বাড়িয়েছে। সে অস্থিরতা কোথায় গিয়ে ঠেকবে কেউ জানে না। ভাইরাসে আক্রান্তের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা বাড়ছে। স্মৃতিশক্তিতেও আঘাত হানছে। আর এ কারণে বিএনপির লোকজন ঠাঁই পাচ্ছে সরকারি দলের যুব সংগঠনে। আছে লেনদেনও। কারও কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। সরকারি দলের বড় স্যারেরা মিডিয়ার সামনে হাসিমুখে অনেক কথা বলছেন। তাদের কেউ প্রশ্নও করছেন না এসব নিয়ে। যত দোষ নন্দ ঘোষ। কমিটি বাতিল হয়, কেউ যায় জেলে, কেউ হয় হেনস্তা। সমস্যার সমাধান হয় না। বরং নতুন ঝামেলা বাড়ে। সবাই ভাবেন, সব ঠিক আছে। এখন আর আলোচনা-সমালোচনা করে লাভ নেই।

জমিদারবাবু করলে লীলা খেলা সাধারণ মানুষ করলে পাপ। কারাগারে যারা গেলেন, বিতাড়িত যারা হলেন তারা বিস্ময় নিয়ে সব দেখছেন। হয়তো নীরবে অশ্রু ফেলে নিয়তিকে দোষারোপ করছেন। ভিতরের কষ্ট আর রক্তক্ষরণ থেকে নীরবে অশ্রু বিসর্জন হবেই। অসংগতির মারফতি ব্যাখ্যা হয়তো আছে। তার পরও মনে রাখুন, নিজেদের প্রয়োজনে যারা হিজরত করে আপনাদের সঙ্গে এসেছেন তারা থাকবেন না। সময় শেষ হলে ফিরে যাবেন আপন ঠিকানায়। ইতিহাস তাই বলে। অনেক কিছুর দায় নেওয়া যায় না। এই সময়ে কে কার দায় নেবে বলুন? ক্ষমতার রাজনীতি সব সময় জটিল। ভালো সময়ে আগাছারা হয় আপন। আর মেধা-মননে সিক্ত আপনরা হয় পর। ভারাক্রান্ত এক বন্ধু বললেন, যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ। কথা বাড়াই না। কী হবে বাড়িয়ে? আপন-পর চেনা এখন কঠিন। একদা সক্রেটিস আপন-পর চিনতে গিয়েই বিপদে পড়েছিলেন।

আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর সবাই ছিলেন তার বন্ধু অথবা আপনজন।  যিশুখ্রিস্টের সাড়ে চারশ বছর আগে সক্রেটিস জন্ম নেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ছিল তিনটি। এক. তিনি ধর্মে বিশ্বাস করতেন না। তাই মূর্তিপূজার সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর আঘাত করে মতপ্রকাশ করছেন। সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করছেন। দ্বিতীয় অভিযোগ হলো, যুবসমাজকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছেন। তিন নম্বর অভিযোগ, সমাজ ও দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করছেন। শুরু হয় সব অভিযোগ নিয়ে শুনানি। বিচারকরা সবকিছু গুরুত্বের সঙ্গে নিলেন। রাষ্ট্র বসে থাকল না। রাষ্ট্রের সব যন্ত্র সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল। রাষ্ট্রযন্ত্র বিশ্বাস করত সক্রেটিসের করা কাজগুলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা রিপোর্ট আরও কঠিন ছিল। বিচারকদের সামনে ডাক পড়ল সক্রেটিসের। তিনি প্রথমে তাকালেন অভিযোগকারীদের দিকে। বিস্মিত ও হতাশ হলেন। কিন্তু কোনো মতামত ব্যক্ত করলেন না। নীরবে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন কতগুলো অর্বাচীনের কান্ডে! প্রথম অভিযোগকারী মেলিটাস ব্যক্তিগত জীবনে সক্রেটিসের প্রিয় বন্ধু।

একসঙ্গে কেটেছে গল্পে আড্ডায় অনেক বেলা। ভালো কবিতা লিখতেন মেলিটাস। বিশ্বাস করতেন তাঁর কবিতা বিশ্বসেরা। প্রতিভায় তিনি সক্রেটিসকে ছাড়িয়ে। কিন্তু যুবসমাজ তাঁর কবিতা শুনত না। সবাই সক্রেটিসের বক্তৃতা শুনত। আলোচনা করত। মেলিটাস মনের যন্ত্রণা আর রাখতে পারলেন না। ভাবলেন এই লোকটিকে শেষ করতে পারলে মানুষ তার পেছনেই চলবে। কথা শুনবে। কবিতা শুনবে। তাই অভিযোগ করলেন সক্রেটিসের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় অভিযোগকারী লাইকনও নিজেকে একজন উচ্চমানের পন্ডিত মনে করতেন। তিনি ভালো বক্তব্য দিতেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কোনো আগ্রহ ছিল না তার বক্তৃতার ওপর। সবাই দলবেঁধে শুনত সক্রেটিসের যুক্তিতর্ক। ব্যস, আর যায় কোথায়। হিংসা আর লুকিয়ে রাখতে পারলেন না। অভিযোগ করলেন রাজদরবারে। তৃতীয় অভিযোগকারীর নাম এনিটাস। তার ক্ষোভ আরও অভিনব। এই লোকটির পুত্র ছিলেন সক্রেটিসের ভক্ত। সবকিছু বাদ দিয়ে ব্যস্ত থাকতেন সক্রেটিসে। বাবার কথা শোনারও সময় নেই। বাড়ির কাজ ফেলে ছুটে যেতেন সক্রেটিসের কথা শুনতে। দু-চার বার ছেলের সঙ্গে কথা বললেন এ নিয়ে। কিন্তু লাভ হলো না। তাই তিনিও অভিযোগকারী। আর রাষ্ট্র বসে ছিল এ ধরনের অভিযোগগুলো আমলে নিতে। গুরুত্বের সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো। খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯ সালে এথেন্সে বসল বিচারসভা। বিচারকরা বিভক্ত। একদিকে ২৮০ আরেকদিকে ২২০ জন। ৭১ বছর বয়সী সক্রেটিসকে হেমলক বিষপানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সক্রেটিসের শিষ্যরা তাকে রক্ষার চেষ্টা করলেন। ক্রিটোসহ অনেকে কাঁদলেন। তারপর বিশাল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পালানোর ব্যবস্থা করলেন। কারারক্ষী অর্থ পেয়ে রাজি সহায়তা করতে। সব ব্যবস্থা চূড়ান্ত। ক্রিটো এলেন নিয়ে যেতে। সক্রেটিস সব দেখলেন, শুনলেন। তারপর বললেন, পালানোর প্রশ্নই আসে না। কারণ আমি পালালে প্রমাণ হবে, আনীত মিথ্যা অভিযোগগুলো সত্য ছিল। মনে রেখ, আমি এথেন্সকে ভালোবাসি। আইনকে মান্য করি। স্ত্রী-সন্তান, পরিজনের চেয়ে রাষ্ট্র অনেক পবিত্র। সক্রেটিস সেই পবিত্রতাকে সম্মান জানিয়ে বিষপান করে মারা গেলেন। রাষ্ট্রীয় আদেশ বাস্তবায়ন হলো।

সক্রেটিসের এ কাহিনি অনেকেই জানেন। পড়েছেন। তার পরও লিখলাম চারপাশের অনেক কিছু দেখে ভারাক্রান্ত হৃদয় থেকে। একটা অদ্ভুত সময় পার করছি। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলাম শুরুতে। একটা ভয় আর আতঙ্কের সময় ছিল তখন। চিকিৎসকরা রোগীর ধারেকাছে ঘেঁষতেন না। করোনা রোগীর বাড়ির বাইরে টানানো থাকত লাল পতাকা। বিদেশফেরতরা ছিলেন আরও বিপাকে। এক বাড়িতে বিদেশফেরতের কোয়ারেন্টাইন দেখতে ভেঙে পড়ত পুরো গ্রাম। অনেকে আক্রান্ত, হামলার শিকার হন। উপেক্ষিত হন নিজের পরিবারেও। করোনা আক্রান্তকে কাছে রাখতে অস্বীকৃতি জানাত পরিবার-পরিজন। একজন স্বেচ্ছাসেবী নেতার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। লাশ দাফন করতেন তারা। কথায় কথায় বললেন, ভাই, কঠিন সেই সময়ের কথা সবাই ভুলে গেছে। একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে পরিবার যোগাযোগ করত। বলত, ভাই, লাশটি আপনারা নিয়ে যাবেন। আমরা কেউ থাকতে পারব না। একবারও কেউ ভাবতেন না, মানুষটি বাড়িতে ফিরে আসবেন। খোঁজও নিতেন না জীবিত না মৃত। হাসপাতালের দিনগুলো কাটত অসহায়ের মতো। হায়! সেই দিনের কথা কারও মনে নেই। মানুষই পারে সবকিছু ভুলে যেতে। সুরা বনি ইসরাইল রুকু ৬, আয়াত ৫৪-তে পরিষ্কার বলা আছে, ‘তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের ভালোভাবে জানেন। ইচ্ছা করলে তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করেন এবং ইচ্ছা করলে তোমাদের শাস্তি দেন। আমি তোমাকে এদের অভিভাবক করে পাঠাইনি। ’ একই রুকুর ৫৮ নম্বর আয়াতে আছে, ‘এমন কোনো জনপদ নেই যা আমি কিয়ামতের দিনের আগে ধ্বংস করব না অথবা যাকে কঠোর শাস্তি দেব না; এ তো কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। ’

এক প্রশান্ত হালদার লুটে নিয়ে চলে গেছেন ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। তিনি আর ফিরবেন না। জানা যাবে না প্রশান্ত বাবুর আড়ালের খলনায়কদের নাম। একদা এ শহরে আজিজ মোহাম্মদ ভাই প্রভাবশালী ছিলেন। এখন বাংলাদেশে আসতে পারেন না। ব্যাংকিং ও শেয়ার জগতে দাপুটে ছিলেন লুৎফর রহমান বাদল। এখন তিনি কোন দেশে কেউ জানেন না। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের দরবারে যেতে পারলে প্রভাবশালীরা ধন্য হতেন। এখন কারাগারে কেউ তাকে দেখতে যান না। অহংকারের পতন সব সময় ভয়াবহভাবে হয়। মুম্বাইয়ের হাজী মাস্তান ছিলেন সত্যিকারের মাফিয়া। তার সামনে অনেকেই হাঁটতে সাহস পেতেন না। গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। সে যুগেরও অবসান হয়েছে কঠিনভাবে। মুম্বাই শহরকে তছনছ করা দাউদ ইব্রাহিম এখন বিতাড়িত। মাফিয়া যুগ বলে কিছু নেই। মুম্বাই সফরকালে ভয়ংকর মাফিয়া দাউদের পরিত্যক্ত ভবন দেখেছিলাম। দুনিয়া এক অদ্ভুত জায়গা। অকারণে নিজেকে বিশাল কল্পনার কিছু নেই।  আজ যা বাস্তব কাল তা অতীত। অহংকারের পরিণতি ভয়াবহ।  

লেখক: সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।