ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

লাইলাতুল কদর অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৬ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৯
লাইলাতুল কদর অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত লাইলাতুল কদর অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত

পবিত্র মাহে রমজানের শেষ দশকের কোনো বিজোড় রাতে রয়েছে লাইলাতুল কদর। যেটি হাজার মাস থেকেও শ্রেষ্ঠ। হাদিসে এসেছে, এ রাতে ঈমান ও সওয়াব লাভের আশায় যে ইবাদত-বন্দেগি করবে, তার অতীতের সবগুলো পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় আমি এটি (কুরআন) নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। কদরের রাত কী তুমি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

’ (সুরা কদর, আয়াত : ১-৩)

লায়লাতুল কদর সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানসহ আল্লাহর কাছে ছাওয়াব প্রাপ্তির আশায় কদরের রাতে ইবাদত করল, তার অতীত জীবনের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। ’ (বুখারি, হাদিস : ২০১৪)

অধিক নির্ভরযোগ্য মতানুসারে লায়লাতুল কদর মাহে রমজানের শেষ দশকের একটি রাত। আল্লাহ তাআলা এ রাতের ইলম বান্দাদের থেকে গোপন করে রেখেছেন তাদের প্রতি রহমতস্বরূপ। যাতে তারা মাহে রমজানের শেষ দশ রজনীতে লায়লাতুল কদর অনুসন্ধান করতে গিয়ে অধিক ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল হয়। নামাজ, দু‘আ ও যিকরের মাধ্যমে রাত্রিযাপন করে। অতঃপর এ দশ রাতের মেহমনতে আল্লাহর অধিক নৈকট্য অর্জনের সুযোগ পায়। তিনি লায়লাতুল কদরকে বান্দাদের পরীক্ষার উদ্দেশ্যেও গোপন করেছেন যাতে লায়লাতুল কদর অনুসন্ধনে কে অধিক নিবেদিত ও ঐকান্তিক তা পরিস্কার হয়ে যায়।

একজন মুমিনের কাছে লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তাআলা এ রাতকে সব রাত্রের চেয়ে সর্বাধিক মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি পবিত্র কোরআনে প্রশংসার সঙ্গে এ রাতের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি তার কালাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয় আমি এটি নাজিল করেছি, বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। (সুরা আদ-দুখান, আয়াত : ২-৩)

এ রাতটি উম্মতি মুহাম্মদির জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত। একটি রাতের ইবাদত এক হাজার মাস বা প্রায় ৮৪ বছর ইবাদতের চেয়েও উত্তম। লক্ষণীয় হলো, আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলেছেন; সমান বলেননি। হাজার মাসের হাজার দ্বারা এক হাজার সংখ্যার উদ্দেশ্য নয়। বরং উদ্দেশ্য হল লাইলাতুল কদর সব সময়কাল অপেক্ষা উত্তম। কাল যতই দীর্ঘ হোক না কেন।

রাসুল (সা:) বলেন, লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশ দিনের মধ্যে হয়। এটি বিজোড় রাতে হয়ে থাকে। রাসুল (সা.) এ রাতের আলামত বলতে গিয়ে বলেন, সেই রাতটি উজ্জ্বল-পরিষ্কার হবে। আধো শীত, আধো গরম। প্রভাতে সূর্য কিরণহীন অবস্থায় উদিত হয়।

আল্লাহ আমাদের রমজানের সময়গুলো কাজে লাগানোর তৌফিক দান করুন। আমিন।

লেখক: ইমাম ও খতিব, আল-হেরা জামে মসজিদ, খুলনা।

রমজানবিষয়ক যেকোনো লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অপার মহিমার রমজান এর সর্বশেষ