(৬) আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সঙ্গে কি আচরণ করেছিলেন, (৭) যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং (৮) যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোনো লোক সৃজিত হয়নি ৯) এবং সামূদ গোত্রের সঙ্গে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ-নির্মাণ করেছিল।
শানে নুজুল
এ সুরায় পাঁচটি বস্তুর শপথ করে ইন্না রাব্বাকালা বিলমিরছাদ আয়াতে বর্ণিত বিষয়বস্তুকে জোরদার করা হয়েছে।
শপথের পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে প্রথম বিষয় হচ্ছে- ফজর অর্থাৎ, সোবহে- সাদেকের সময়। এখানে প্রতিদিনের প্রভাতকালও উদ্দেশ্য হতে পারে। কারণ, প্রভাতকালে বিশ্বে এক মহাবিপ্লব আনয়ন করে এবং আল্লাহ তায়ালার অপার কুদরতের দিকে পথ দেখায়।
এখানে বিশেষ দিনের প্রভাতকালও বোঝানো যেতে পারে। তফসীরবিদ সাহাবী হযরত আলী, ইবনে আব্বাস ও ইবনে যুবায়র (রা.) থেকে প্রথম অর্থ এবং ইবনে আব্বাসের এক রেওয়ায়েতে ও হযরত কাতাদা (রা.) থেকে দ্বিতীয় অর্থ অর্থাৎ মহররম মাসের প্রথম তারিখের প্রভাতকাল বর্ণিত হয়েছে। এ দিনটি ইসলামী চান্দ্র বছরের সূচনা।
কেউ কেউ এর অর্থ নিয়েছেন, জিলহজ মাসের দশম তারিখের প্রভাতকাল। মুজাহিদ (র.) ও ইকরিমা (রা.) এর উক্তি তাই। বিশেষ করে এদিনের শপথ করার কারণ এই যে, আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিনের সঙ্গে একটি রাত দিয়েছেন, যা ইসলামী নিয়মানুযায়ী দিনের আগে থাকে।
একমাত্র ‘ইয়াওমুন্নহর, তথা জিলহজের দশম তারিখ এমন একটি দিন, যার সঙ্গে কোনো রাত নেই। কারণ এর আগের রাত এ দিনের রাত নয়; বরং তা আরাফাতেরই রাত। এ কারণেই কোনো হাজি যদি ইয়াওমে-আরাফাত তথা নবম তারিখে দিনের বেলায় আরাফাতের ময়দানে পৌঁছতে না পারে এবং রাতে সোবহে সাদেকের আগে কোনো সময় পৌঁছে যায়, তবে তার আরাফাতে অবস্থান সিদ্ধ ও হজ শুদ্ধ হয়ে যায়।
[তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন- হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ শাফী (রহ.)]
সম্পাদনায়: মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
লেখক: বিশিষ্ট মুফাসসিরে কোরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব; চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৮
এমএ/