ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অফবিট

দিল্লির দূষণে গাজর খাওয়া ও যজ্ঞ করার পরামর্শ মন্ত্রীদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৯
দিল্লির দূষণে গাজর খাওয়া ও যজ্ঞ করার পরামর্শ মন্ত্রীদের

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলছে স্মরণকালের ভয়াবহ বায়ুদূষণ। এ দূষণের মাত্রা এতোটাই যে, রাজধানীর দশটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র একে ‘মাত্রাতিরিক্ত জরুরি’ অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে। এ দূষণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে যখন লাখ লাখ মানুষ, তখন এ থেকে বাঁচতে ‘উদ্ভট’ সব পরামর্শ দিয়ে চলেছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রীরা। 

দূষণ থেকে রক্ষা পেতে নাগরিকদের গাজর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের আরেক মন্ত্রী সুনীল ভারালা এটিকে ‘প্রাকৃতিক ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ অবস্থা কাটাতে দেবতা ইন্দ্রের উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এ পরিস্থিতিতে গান শোনার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রোববার (নভেম্বর ৩) এক টুইটবার্তায় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকার নাগরিকদের গান শোনার মধ্য দিয়ে দিন শুরু করতে বলেছেন।  

এর আগে গত শনিবার (২ নভেম্বর) তিনি অভিযোগ করেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বর্তমান বায়ুদূষণ পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছেন।  

অন্যদিকে টুইটারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন নাগরিকদের উদ্দেশ্যে লেখেন, দূষণ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধে গাজর খান।  
উত্তর প্রদেশের সুনীল বড়ুয়া বলেছেন, কৃষকরা সবসময় ফসল কাটার পর খড় পুড়িয়ে থাকে, আশপাশের প্রদেশ থেকে সেগুলোর ধোঁয়া রাজধানী দিল্লিতে জড়ো হয়ে বায়ু দূষণ ঘটায়। এটি একটি প্রাকৃতিক বিষয়। এর সমালোচনা দুর্ভাগ্যজনক।  

‘এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্রকে সন্তুষ্ট করতে হবে।  তার উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করতে হবে। তিনিই সব ঠিক করে দেবেন। ’ 

সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজনের এসব মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ অভিহিত করে ক্ষোভ ও হাসি তামাশায় ফেটে পড়েছে নেটিজেনরা। এ মন্ত্রীদের কটাক্ষ করে তারা বিভিন্ন রকম পোস্ট ও ছবি শেয়ার করে চলেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।