ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অফবিট

ছেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ‘বুকডন’ দিচ্ছেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
ছেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ‘বুকডন’ দিচ্ছেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা ছেলের সঙ্গে বুকডন দিচ্ছেন ঊষা সোমান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ঢাকা: বয়স ৮০ ছাড়িয়েছে তাতে কী, এটা শুধু একটা সংখ্যাই। অন্তত ঊষা সোমানকে দেখে সেটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক!

মিলিন্দ সোমান ভারতের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেতা। তার ফিটনেসের খ্যাতিও দেশজোড়া।

তার জন্য একটানা বুকডন দেওয়া কোনো ব্যাপারই না। তবে ছেলের চেয়ে কোনো অংশে কম যান না তার মাও। ‍ মা-ছেলে পাল্লা দিয়ে বুকডন দেওয়ার ভিডিও রীতিমতো ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

রোববার (১২ মে) মা দিবস উপলক্ষে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তাক লাগানো এ ভিডিও শেয়ার করেছেন মিলিন্দ সোমান।

ভিডিওতে দেখা যায়, ছেলের পাশে শাড়ি পরেই একের পর এক বুকডন দিয়ে চলেছেন ঊষা সোমান। এদিন টানা ১৬টি বুকডন দিয়েছেন তিনি।

মিলিন্দ তার পোস্টে লিখেছেন, এটা কখনোই খুব বেশি দেরি নয়। ঊষা সোমান, আমার মা, ৮০ বছরের তরুণী। প্রতিদিনই হোক মা দিবস।

বুকডন শেষে ৫৩ বছর বয়সী সুপার মডেল বলেন, এটা সব মায়ের জন্য একটা মেসেজ। যতটুকু সম্ভব, প্রতিদিন অন্তত ৫-১০ মিনিট হলেও নিজেকে সময় দেন। আমরা সবাইকে সুস্থ-সবল দেখতে চাই। হ্যাপি মাদার্স ডে।

সবশেষে মায়ের গালে ভালোবাসার চুমু এঁকে দেন তিনি।

স্কটল্যান্ডে জন্ম নেওয়া মিলিন্দ সোমান বড় হয়েছেন ভারতে। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করলেও তার বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ফিটনেস কার্যক্রমের জন্যই। ভারতে নারীদের সর্ববৃহৎ দৌড় প্রতিযোগিতা পিংকাথনের অ্যাম্বাসেডর তিনি। ভারতের প্রথম সুপার মডেল বলা হয় মিলিন্দকে। বাজিরাও মাস্তানি, ১৬ ডিসেম্বরের মতো জনপ্রিয় সিনেমার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শর্টফিল্ম, ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন তিনি।

আর, উষা সোমানেরও চমক জাগানিয়া কাজকর্ম এটাই প্রথম নয়। ২০১৬ সালে শাড়ি পরে খালি পায়ে মহারাষ্ট্র ম্যারাথনে অংশ নেন তিনি। এর আগেও বেশ কয়েকবার ১০০ কিলোমিটার হেঁটেছেন এ ‘৮০ বছরের তরুণী’।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।