ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অফবিট

ওবামার ঘরে পুতিনের বাসা!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
ওবামার ঘরে পুতিনের বাসা!

ঢাকা: পৃথিবীর দুই পরাশক্তি- রাশিয়া ও আমেরিকা। কিন্তু মিত্রতার বদলে ঐতিহাসিকভাবেই পরমাণু শক্তিধর দেশ দু’টির সাপে-নেউলে সম্পর্ক।

দু’দেশের ঠাণ্ডাযুদ্ধ বা কোল্ডওয়ারের সময় থেকেই চলছে রেষারেষি আর বৈরিতা। রোনাল্ড রিগ্যানের সময় গরবাচেভকে পেরেস্ত্রোইকা আর গ্লাসনস্তে-এর ‘ঘুমের বড়ি’ খাইয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার পর মার্কিন মদতে পাঁড় মদ্যপ ইয়েলৎসিন ক্ষমতাহীন হন।

রাশিয়া হয়ে পড়ে দুর্বল। এরপর পুতিন এসে রাশিয়াকে টেনেই শুধু তোলেননি, রীতিমতো পরাশক্তি বানিয়ে দিয়েছেন আবার। ফলে রাশিয়া-আমেরিকার শত্রুতার পারদ সেই আগের মতো উপরে উঠছে।  

প্রথমে সিরিয়া নিয়ে রুশ-মার্কিন দ্বন্দ্ব এবং পরে মার্কিন নির্বাচন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে, ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের কথিত আঁতাতকে ঘিরে, সেটা আরও বাড়বাড়ন্ত। দিনকে দিন শত্রুতার আগুনে জলের বদলে পেট্রোল পড়ছে। পুতিন-ওবামা একে অপরের চক্ষুশূল। সেটা তারা গোপনও রাখেননি আর।  

ওবামা যতই অপছন্দ করুন, মার্কিন রাজনীতিতে পুতিন এখন এক বড় ফ্যাক্টর। যাকে বলে, জুতোর নিচে অস্বস্তির পেরেক! 

অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পপন্থি মার্কিনীদের একটি অংশ আবার হয়ে পড়েছে পুতিনভক্ত। খোদ মার্কিনীদের এই পুতিনভক্তি ওবামা প্রশাসনের জন্য বিব্রতকর পর্যায়ে পৌঁছছে। এর বড় এক প্রমাণ দেখা গেছে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান ব্রিজে। পুলিশ, নিরাপত্তাবাহিনী, সিআইএ, এফবিএ-র লোকদের শকুনচোখ ফাঁকি দিয়ে ব্রিজটির কাঠামোর সঙ্গে বৃহস্পতিবার কারা যেন ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিকৃতি সম্বলিত বিশাল এক ব্যানার টাঙিয়ে দিয়ে গেছে। যাকে বলে, ‘বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা’।

২০ ফুট বাই ৩০ ফুট আকারের এই ঢাউস ব্যানারটি ওইদিন শোভা পাচ্ছিল ব্রিজের লোয়ার ম্যানহাটান ও বরো অব ব্রুকলিনের মাঝামাঝি অংশে। ব্যানারে দেখা যায়, রাশিয়ার পতাকা সামনে রেখে স্যুটপরা পুতিন দাঁড়িয়ে আছেন। ব্যানারের একপাশে পুতিনের প্রশংসা করে ক্যাপটাল লেটারে লেখা: ‘‘শান্তির দূত’’ ("Peacemaker")

টেলিফোনে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের সময় ব্যানারটি সরিয়ে নেয়। ব্যাপারটা ওবামা প্রশাসনের সহ্য হয়নি। তারা এখন সংশ্লিষ্ট পুতিনভক্তদের হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তবে এখনও কাউকে পাকড়াও করা যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
জেএম/এএ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।