ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নিউইয়র্ক

জে জনসন নতুন মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তামন্ত্রী

শিহাবউদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩
জে জনসন নতুন মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তামন্ত্রী

নিউইয়র্ক থেকে: যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্য জে চার্লস জনসন।

গত অক্টোবরে নিরাপত্তামন্ত্রী হিসেবে জনসনকে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।

যুক্তরাষ্ট্র সময় সোমবার সিনেটের অনুমোদনের মাধ্যমে তার নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। মার্কিন সিনেটে জনসনের নিয়োগের পক্ষে ৭৮ ও বিপক্ষে ১৬ ভোটে পড়ে।

২০০১ সালে সন্ত্রাসী হামলার পর গড়ে তোলা স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের চতুর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলেন জনসন। ওবামার প্রথম মেয়াদ ২০০৯ থেকে ২০১২ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেনারেল কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রধান দেশের সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি অভিবাসন ব্যবস্থা ন্যায্য করাসহ আরও অনেক পদক্ষেপে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার।

জে জনসনের নিয়োগে সিনেটের অনুমোদনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন, মূল্যবোধ ও নাগরিক অধিকারকে সামনে রেখে স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তামন্ত্রী হিসেবে জনসন সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরো ন্যায়সংগত করতে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দেবেন।

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে দায়িত্ব পালনের সময় জনসন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে সর্বাত্মক সফলতায় কাজ করেছেন বলে জানান ‍ওবামা।

যুক্তরাষ্টের অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কারে প্রেসিডেন্ট ওবামার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে জনসন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণকারী পেন্টাগনের সাবেক জেনারেল কাউন্সেল জনসন জানেত নাপোলিতানোর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

তিনজন সাবেক মন্ত্রীসহ ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান প্রশাসনের কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা জে জনসনকে সমর্থন দিয়েছেন। পেন্টাগনে কর্মরত অবস্থায় রিপাবলিকানদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠায় নিয়োগ পেতে সংখ্যাগরিষ্ট রিপাবলিকানদের সমর্থন পেতে জনসনকে তেমন বেগ পেতে হয়নি।

কোস্ট গার্ড, ফেডারেল প্রটেক্টিভ সার্ভিস, শুল্ক ও সীমান্ত নিরাপত্তা, গোয়েন্দা বিভাগ ও কেন্দ্রীয় জরুরি অবস্থা ব্যবস্থাপনা সংস্থা, অভিবাসনসহ ২২টি কেন্দ্রীয় সংস্থা নিয়ে গঠিত মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়। তবে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেশটিগেশন (এফবিআই) বা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের আওতার বাইরে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ

welcome-ad