ভেবেছিলাম, গোলাপ দেবে;
‘ঘাতকদের সময়’ তুমি পড়তে দিয়েছ।
ঘুমের ভেতর আমি নগ্ন অক্ষরের ফিসফাস
আর কাগজ হাঁটার শব্দ শুনেছি।
জানলার গ্রিলে পা তোলা কয়টি হরিণ,
তাদের মায়াবী ছায়া
মেঝের রৌদ্রবাড়িতে সকালে দিয়েছে লাফ।
জেগে উঠে দেখি, এক শ’ নতুন কপিতে
আয়নার সরোবর ঢাকা;
দেখতে পেলাম না আমার চেনা মুখ।
চোখের ভেতর, ফুলদানির গ্রীবায়, চার দেয়ালে,
তোমার উপহার হাসছে। নাচছে।
‘সময়’ অনেক হলো নতুন প্রচ্ছদে।
আমাকে লাত্থি মেরে ঘর থেকে ফেলে দিল ড্রেনে।
বাজালো নরক থেকে আনা আগুনের শিস।
গাইলো এস্পেরান্তো ভাষায় বুজরুকি দেশের গান।
ফুলের টবে বইয়ে দিল বৈশাখের ঝড়।
রাস্তার প্রহরে লাফ দিল বিজয়-আনন্দে।
এবার লাল-কালো প্রচ্ছদের ঢেউ শুধু ঢেউ।
মরোক্ক চামড়ায় নিজেদের বাঁধিয়ে নিচ্ছে উল্লাসে,
বন্যার কল্লোলে যাচ্ছে লোকালয়ে,
কখনো গোয়েন্দাপায়ে জাতিসংঘের শান্তিসম্মেলনে,
সবুজ অরণ্যে, নদীর তলদেশে, ধর্মঘরে
আর প্রেমিকপ্রেমিকার বাহুরবন্ধনে।
দিকদিশাহীন আমি দৌড়াতেই থাকি।
১০.০৩.২০১
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৪