ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নববর্ষ সংখ্যা

স্বপ্নাণু ও হয়ে ওঠার গল্প ।। তমিজ উদদীন লোদী

গল্প / বাংলা নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৪
স্বপ্নাণু ও হয়ে ওঠার গল্প ।। তমিজ উদদীন লোদী অলঙ্করণ: মাহবুবুল হক

ফোরটি সেকেণ্ড স্ট্রিটের আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন থেকে বেরোতেই আনজুম দেখলো জোর বৃষ্টি নেমেছে। সে ছাতা নিয়ে আসেনি।

অথচ অধিকাংশ যাত্রীর হাতেই ছাতা শোভা পাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে এরা আগে ভাগেই আবহাওয়ার খবর জেনেছে এবং প্রস্তুতি নিয়েই বেরিয়েছে। তার অভিজ্ঞতা বলে এদেশে  আবহাওয়ার পূর্বাভাস কখনো বিফল হয় না। তবে তার স্বভাবজাত আলসেমি অধিকাংশ সময়ই আবহাওয়ার খবরটি থেকে তাকে বিরত রাখে। যার খেসারত তাকে প্রায়শই দিতে হয়। যেমনটি দিতে হচ্ছে আজ।
     সে লক্ষ্য করলো বৃষ্টির সঙ্গে জোর বাতাসও বইছে। ম্যাপলের কিছু পাতা উড়ে এসে বৃষ্টির পানিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। এরই মধ্যে ঝকঝকে কিছু তরুণ-তরুণী বৃষ্টির তোয়াক্কা না করেই এক রকম লাফিয়েই চলেছে। সে আরো অনেকের মতো সিঁড়ি ভেঙ্গে নিচে নেমে আসে। নানা বয়সী মানুষ সেখানে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় জড়ো হয়ে আছে। তাহলে সে একা নয় এরকম বেখেয়াল কিংবা আলসে মানুষ আরো আছে।
     কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর সে দেখলো ধীরে ধীরে লোকজন উপরে উঠছে। সেও তাদের অনুসরণ করে। উপরে উঠে সে দেখলো বৃষ্টির জোরালোভাব কমে এসেছে, তবে একেবারে থেমে যায়নি। এর মধ্যেই দৌড়ে পার হচ্ছে অনেকেই। অগত্যা সেও বৃষ্টি মাথায় করে অনেকটা দৌড়ে রাস্তা পেরুলো। ঠিকানা মিলিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেই সে দেখতে পেলো লিফটের সামনে বেশকিছু নারীপুরুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে লাইনের পেছনে গিয়ে নীরবে দাঁড়িয়ে পড়লো। লিফট নেমে এলে সেও অন্যদের সাথে ভেতরে ঢুকলো। সে যাবে আঠারো তলায়।

মেন্ডিস যথারীতি তার জন্য অপেক্ষা করছিল। মেন্ডিসের সঙ্গে এই নিয়ে সে তৃতীয়বার দেখা করছে। মেন্ডিস তাকে দেখে সহাস্যে বললো, তুমি সাত মিনিট লেট। সে খানিকটা দমে গিয়ে বললো, স্যরি। মেন্ডিস বললো, ইটস ওকে।
     মেন্ডিসের সঙ্গে তার পরিচয়টা খুব অদ্ভুতভাবে ঘটেছিল। ইনফরমেশন টেকনোলজির  বিশাল প্রতিষ্ঠানের এই অফিসে তার আগে থেকেই যাতায়াত ছিল। এখানে মাঝে মাঝে সে টুকটাক কাজ করার সুযোগ পেলেও স্থায়ী কোনো জব পাচ্ছিল না। তো হঠাৎ করে এই নতুন মেয়েটিকে দেখে সে কৌতূহলী হয়ে ওঠে। ছিপছিপে গড়নের কফি রঙয়ের মেয়েটি তাকে কেন জানি আকর্ষণ করে। সে অনেকটা গায়ে পড়েই জিজ্ঞেস করে, তোমাকে নতুন মনে হচ্ছে?
- হ্যা আমি নতুনই । দু’সপ্তাহ হলো।
- হ্যোয়ার ইউ ফ্রম?
- আই এম এ ল্যাটিনো।
- অবকোর্স ইউ আর এ ল্যাটিনো, বাট হুইচ কান্ট্রি?
     সে ইতস্তত করে। তার মুখ খানিকটা ম্লান হয়ে যায়। খুব বিমর্ষ হয়ে বলে, আই অ্যাম ফ্রম কলম্বিয়া। সে খুব উৎফুল্ল স্বরে বলে উঠেছিল, ওয়াও! ইউ আর ফ্রম দ্য কান্ট্রি অব গ্রেইট গ্রেইট রাইটার গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মারকুইজ!
     মেয়েটি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়েছিল। পরক্ষণেই তার মুখ ঝলমলে হয়ে উঠেছিল, এভাবে আমাকে কেউ কখনো বলেনি। তুমি কী যে ভালো।
     সেই থেকে তাকে দেখলেই উৎফুল্ল হয়ে উঠতো মেয়েটি। টুকটাক কথাবার্তা হতো। একদিন তার ইচ্ছের কথাটি বললো, এখানে একটি স্থায়ী চাকুরী হলে বেশ হতো। সে বলেছিল, আমি আলাপ করে দেখবো। ব্যাপারটি প্রায় ভুলেই গিয়েছিল সে, গতকাল তাকে টেলিফোন করেছিল ম্যান্ডিস। আঞ্জুম আমি তোমার কথা আলাপ করেছিলাম বসের সাথে। তিনি তোমার ইন্টারভিউ নিতে রাজি হয়েছেন, তুমি কি তোমার রেজোমি নিয়ে আগামীকাল ১১টায় আসতে পারবে?
     ম্যান্ডিস বললো, তুমি শুধু সাবলীলভাবে বলে যাবে, আমি আশা করছি তোমার হয়ে যাবে। সেও মনে মনে প্রার্থনা করে তার যেন হয়। সে প্রায়শই স্বপ্ন দেখে এরকম একটি চাকরির। টিপটপ ছিমছাম একটি চাকরির।

সে যেখানে বসেছে তার সামনে বিশাল  স্বচ্ছ কাচের দেয়াল। সে বাইরে তাকায়। দেখে এপ্রিল ক্রমশ তার রূপ খুলছে। এলিয়ট এপ্রিলকে নিষ্ঠুর বললেও এ মাস যে কবিতার। তার মনে পড়ে আহা এই মাস যে বৈশাখেরও। তার মনে পড়ে বৈশাখ এলে উন্মাতাল ঝড় আর শিলাবৃষ্টির ভেতর সে আরেক মজাদার  খেলায়  মেতে উঠতো। ব্জ্রপাত আর মেঘ ডাকার ভেতর তাদের পুকুর থেকে ঝাঁক বেঁধে উঠে আসা কৈ মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় নামতো। কানকো গেঁথে গেঁথে উঠে আসা কৈ মাছের দৃশ্য সে চোখ বুজলেই দেখতে পায়। সে দেখতে পায় পান্তা-ইলিশ, নববর্ষ। একদিনের জন্য হলেও বাঙালি হবার উৎসব। কিছুটা সময়ের জন্য হলেও তাকে নস্টালজিয়ায় পেয়ে বসে।
     ম্যান্ডিস বলে, তোমার সাথে বস কথা বলবেন বারোটার পর। তুমি খানিকটা দেরি করে আসায় স্ক্যাজুয়েলটা পাল্টে গেছে। সে শংকিত হয়ে ওঠে।
     ম্যান্ডিস বলে, ভয় পেয়ো না, তোমার ইন্টারভিউটা আজই হবে। চলো গলা ভিজিয়ে আসি। অগত্যা সে ম্যান্ডিসকে নিয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় ঢোকে। তারা একটা টেবিল বেছে নেয়। ম্যান্ডিস বলে, টি, কফি অর অ্যানি কোল্ড ড্রিংস? সে বলে, টি। ম্যান্ডিস আঞ্জুমের জন্য চা এবং তার জন্য ডায়েট পেপসি নিয়ে আসে। ম্যান্ডিস বলে, তুমি তোমার কথা বলো, তোমার দেশের কথা।
     আঞ্জুম বলে, আমি যে দেশে জন্মেছি সে দেশটি আমরা একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে  অর্জন করেছিলাম। প্রচুর স্বপ্ন ছিল আমাদের। বলতে পারো আমিও এই স্বপ্নের ভেতর বেড়ে উঠেছি। স্বপ্নের অণুগুলো জড়ো করে ক্রমশ একটি অবয়ব দিতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু এক সময় মনে হয়েছে সবকিছুই অসাড়। সবকিছুই ব্যর্থ। স্বপ্নগুলোকে ফালি ফালি করে একসময় বিসর্জন দিয়েছি নদীতে, তারপর তো দেখতেই পাচ্ছো।
- বাহ! বড় সুন্দর করে বললে তুমি। আমার অবস্থা আরো করুণ। ড্রাগ, চোরাচালান, খুন, অপহরণ আর সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে উঠেছি আমি। এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাকে পার হতে হয়েছে যে মাঝে মাঝে ইচ্ছে হতো আত্মহত্যা করার। শুধু আমি মরতে পারিনি আমার মায়ের জন্য, জানো!
- কিন্তু কি জানো ম্যান্ডিস এতোসব হতাশার মধ্যেও কেন জানি আমি দেশটাকে ভুলে যেতে পারি না। অভিমান হয় সত্যি কিন্তু বিসর্জন দিতে পারি না। একথা ভাবলেই ভেতরে কোথায় যেন চিনচিন করে ওঠে। তোমার মতোই অনেকটা আমার অভিজ্ঞতা। মা-ই ছিল আমার সব। খুব শৈশবে বাবাকে হারিয়েছি আমি। মা-ই ছিল বাবা এবং মা। এখানে এদেশে এসে দীর্ঘ সময় অবৈধ থেকেছি। এই পাবো এই পাবো করে কাটিয়ে দিয়েছি দশটি বছর। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দেশে যাবার উপায় ছিল না। গ্রিনকার্ড পেলাম অবশেষে, কিন্তু মা থাকলো না।
- আই অ্যাম স্যরি। আমি এদিক থেকে ভাগ্যবতীই বলতে পারো। মাকে আমি নিয়ে এসেছি এখানে। আমার বোনটিকেও। মাঝে মাঝে মনে হয় আত্মহত্যা করলে বিরাট ভুল করা হতো। হা হা হা।
     আঞ্জুম দেখে মেয়েটির দাঁত খুব সুন্দর। হাসলে আরো সুন্দর দেখায়। ম্যান্ডিস বলে, তবু তোমার মতোই দেশকে একেবারে ভুলে যেতে পারি না, ভুলে যাওয়া যায় না। তবু মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে যখন বলি আমি কলম্বিয়ান তখন অনেকেই ঠোঁট বাঁকায়, কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করতেও বিরত হয় না। একটা দেশ যে শুধু দেশ নয় অহংকার এবং অপমানেরও তা বাইরে না এলে বুঝতে পারতাম না।
- ঠিক বলেছো ম্যান্ডিস। দেশের সুনামের সাথে সাথে তার নাগরিকরাও সম্মানিত হয়। তার দুর্নামে বরণ করে নিতে হয় অপমান আর লজ্জা। তুমি ভালো করেছো তোমার মা-বোনকে নিয়ে এসে। তুমি কি দেশে যাও?
- আসার পর শুধু মা এবং বোনকে আনতে গিয়েছি । এখন আর যেতে ইচ্ছে করে না। কোথায় যাবো, ওখানে গেলে শুধু তিক্ততার কথাই মনে পড়বে।
- তোমার মতো হতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু পারি না যে। মাঝে মাঝে ভাবি এখানে আমার মতো অনেকেই একটা গ্রিনকার্ডের আশায় কাটিয়ে দিচ্ছে বছরের পর বছর। দেশে তার নিকটজন হারিয়ে যাচ্ছে, যেতে পারছে না। কী নিষ্ঠুরতা!
     আনজুমের বুক ভেঙে যায়। বুকটা হু হু করে ওঠে। চোখ দিয়ে নেমে আসে পানি। সে অনুভব করে একটা কোমল হাত তার হাতের উপর এসে থামে। সে ভাবে হয়তো তার ইন্টারভিউটা হবে, হয়তো চাকরিও হবে। হয়তো একটা সুখী সুন্দর জীবনও হবে তার, কিন্তু যা সে হারালো তা কি পাবে? কে জানে।

দুই.
ইন্টারভিউটা হয়ে যাবার পর তার খুব স্বস্তি হয়। ইন্টারভিউ খুব ভালো হয়েছে। ম্যান্ডিস খুব খুশি। সে খুব উৎফুল্লতার সাথে তাকে বলেছে, তুমি ভালো করেছো। ভবন থেকে বেরিয়ে এসে সে দেখে বৃষ্টি নেই। ঝকঝক করছে চারপাশ। তার হাঁটতে ইচ্ছে করে। কাছাকাছি যে সাবওয়েটা তাকে এড়িয়ে সে দূরেরটার দিকে হাঁটতে থাকে। কী এক ভালোলাগা তাকে ছুঁয়ে যায়। সে দেখে দীর্ঘ শীতকালে যে সব গাছ ন্যাড়া হয়ে ছিল সে সবে কুঁড়ি জেগেছে। জানে খুব দ্রুত সারা নিউইয়র্ক ছেয়ে যাবে সবুজে।
     কী অনিশ্চয়তার মধ্যেই না পাড়ি দিয়েছিল এই দীর্ঘ পথ। পাশের দেশ ম্যাক্সিকোতে এসে গাদাগাদি জানোয়ারের মতো বাস করতে হয়েছে কয়েক মাস। ঠিক মতো খাবারটা মিলেনি। ঠাণ্ডা রুটি চিবিয়েছে। বাথরুম করতে পারেনি কতদিন। নিজেকে জন্তু জানোয়ারের মতো মনে হয়েছে। তারপর সেই গা-শিউরানো অভিজ্ঞতা। কাভারড ভ্যানের ভেতর বসে দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া। মনে হচ্ছিল দমবন্ধ হয়েই মারা যাবে রাস্তায়। প্রায় আধমরা হয়ে এসে পৌঁছেছিল। খুব ভোরে ঠাণ্ডার মধ্যে ওরা তাদের নামিয়ে দিয়েছিল একটা গলিতে।
     তারপরের ইতিহাসটা সংগ্রামের, অনিশ্চয়তার, কষ্টের। কাগজপত্র নেই, বৈধতা নেই। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে একটা ওয়ার্ক পারমিট জোগাড় হলেও গ্রিনকার্ড তখনো সুদূরপরাহত, সোনার হরিণ। তার অজান্তে একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। প্রশস্ত ওয়াকওয়ে ধরে হাঁটতে তার খুব ভালো লাগছে। একটা খুব স্নিগ্ধ হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। শরীর জুড়িয়ে যাওয়া হাওয়া। তার মনে পড়ে তাকে একবার গ্রোসারিতে যেতে হবে। চাল-ডাল থেকে নিয়ে সবই ফুরিয়েছে। সে খুব দ্রুত হাঁটতে থাকে। সাবওয়ে খুব একটা দূরে নয়। এখান থেকে ‘এ’,’সি’ ও ‘এফ’ ট্রেন থামে। তাকে ধরতে হবে ‘এ’ ট্রেন। স্বপ্ন বুনতে বুনতে সে স্নিগ্ধ হাওয়ার ভেতর হাঁটে।

ঘরে এসে খুব ক্লান্তি বোধ করলেও তাকে রান্না ঘরে ঢুকতে হয়। আজ ইন্টারভিউয়ের জন্য ছুটি নিয়েছিল সে। এরকম সময় সহসা পাওয়া যাবে না। সুতরাং রান্নার কাজটা সেরে রাখতে চায় সে। স্মার্টফোনের সাথে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে সে রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
     বিকেল নাগাদ সজল আসে। আনজুমই দরজা খোলে। দেখে হাতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সজল। আনজুম বলে, সজল,তুই! আয়, ভেতরে আয়।
     সজল তার বন্ধু। এক সময় এক সাথেই ছিল। সজল বিয়ে করে বউ নিয়ে আসার পর আলাদা বাসায় উঠেছে। তবে সম্পর্ক এখনো অটুট আছে।
সজল বললো, ইন্টারভিউ কেমন হলো ?
- তুই তো আগাম মিষ্টি নিয়ে এসেছিস দেখছি।
সজল হাসলো, বললো, জানি তো।
- ভালো হয়েছে। হয়তো হয়ে যেতে পারে।
- আমি জানি তোর হবে।
     সজল এমনিই। দিলখোলা, পরোপকারী, সরল। তার সংকটে এই মানুষটি অনেকটা ছায়ার মতো তার পাশে থেকেছে। সাহস যুগিয়েছে। দীর্ঘ প্রবাস জীবনও এই মানুষটিকে এতটুকু বদলাতে পারেনি। কৃত্রিমতা, ইগো ইত্যাদিতে গা ভাসিয়ে দেয়নি। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বদভ্যাস দূর করতে পারেনি। যদিও এসব কারণে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। সজলকে এসব নিয়ে বললে সে শুধু হাসে।
- যদিও জানতাম তবু মনে হলো তোর সাথে দেখা করে যাই। তোর মুখ থেকে শুনি।
- তুই তো ফোনও করতে পারতি?
- তা পারতাম। কিন্তু মন মানলো না যে।
অনেকক্ষণ আড্ডা দিয়ে সজল চলে গেলো।
 
পরদিন সকালে তাকে অবাক করে দিয়ে ম্যান্ডিস ফোন করে। এবং তাকে সুখবরটা দেয়। প্রাথমিকভাবে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। বাদবাকি যা সব ফর্মালিটি। তার খুব মাকে মনে পড়ে। তার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে। এ-ঘর থেকে ও-ঘরে ছুটে যায়। দরজা-জানালা সব খুলে দেয়। সে অবাক হয়ে দেখে সকালের ঝকঝকে রোদ ঘরের মধ্যে লুটিয়ে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নববর্ষ সংখ্যা এর সর্বশেষ