ঢাকা: একটি পাগলা কুকুরের দৌরাত্ম্যে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ভীতসন্ত্রস্ত ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী ও অন্যরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগসংলগ্ন এলাকায় অন্তত ৯ ব্যক্তিকে কামড় দিয়েছে পাগলা কুকুরটি।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
কুকুরটির ক্ষিপ্রতা ও একের পর এক মানুষকে কামড়ানোর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালের সর্বত্র। কুকুরের আক্রমণ থেকে বাঁচতে রোগী ও রোগীর সঙ্গে আসা লোকজনের ছোটাছুটি-হুড়োহুড়িতে হাসপাতালে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রাত ১টার দিকে লোকজন জড়ো হয়ে ধাওয়া করে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়।
হাসপাতালকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জরুরি বিভাগের বাইরের আঙিনায় ৫টি কুকুর সব সময় ঘোরাফেরা করতো। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে একটি কুকুর হঠাৎ ক্ষ্যাপাটে হয়ে ওঠে।
রাত সাড়ে ১১টায় ওই কুকুরটি মোশাররফ হোসেন (২৫) নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালককে কামড়িয়ে আহত করে। এরপরই জামালপুর থেকে রোগী নিয়ে আসা মো. তোতা মিয়াকে (৪২) কামড়ে দেয় কুকুরটি। কয়েক মিনিট পর অ্যাম্বুলেন্স হেলপার আবুল হোসেন (২২), খোকন (১৪), রোগীর সঙ্গে আসা আনোয়ার হোসেন (৩২), সাজেদা পারভীন (২৮), রুবেল (২৪), আনিছুর (২৮)সহ মোট নয়জনকে কামড়িয়ে আহত করে।
এ সময় হাসপাতালে পাগলা কুকুর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি শুরু করে।
এক পর্যায়ে হাসপাতালের কর্মী, রোগীর সঙ্গে আসা লোকজন ও আশপাশের দোকানিরা জড়ো হয়ে কুকুরটিকে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলার পর ওই এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে।
বাংলাদেশ সময় : ০৬৪১ ঘন্টা, অক্টোবর ০১, ২০১০