ঢাকা: ‘বুধবার সায়েদাবাদ রেলক্রসিংয়ে ট্রেন-বাসের সংঘর্ষে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য বাস চালকরাই দায়ী। সংশ্লিষ্ট চালকেদের খামখেয়ালিপনা ও বেপরোয়া আচরণের কারণেই আটজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রেলওয়ে তদন্তদলের প্রধান বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘যথাসময়েই সেখানে গেটবার ফেলে যানবাহনের চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু গেটবারকে পাশ কাটিয়ে দুই চালক তাদের গাড়ি চালিয়ে অবৈধভাবে রেল লাইনের ওপর উঠে পড়ায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ’
বুধবার সন্ধ্যায় রেলওয়ের চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের পর বৃহস্পতিবার সকালেই কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে দীর্ঘ সময় নিয়ে দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য রেকর্ড করেন তারা। তদন্তদলের সদস্যরা রেলক্রসিংসংলগ্ন দোকানপাটের ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে দুর্ঘটনার বর্ণনা শোনেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা তদন্তদলকে জানান, ট্রেন পৌঁছার দেড়-দুই মিনিট আগেই গেটবার ফেলা হয়। কিন্তু সেটিকে উপেক্ষা করে রাস্তার ডান পাশ দিয়ে দুটি বাস রেল লাইনের ওপর উঠেই বিকল হয়ে পড়ে। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ট্রেন এসে সজোরে ধাক্কা দিলে ওই বাস দুটি দুমড়েমুচড়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে।
তদন্ত কমিটির প্রধান জহুরুল ইসলাম আরও জানান, রাজধানীর রেলক্রসিংগুলোতে আধুনিক ব্যবস্থার সিগন্যাল পদ্ধতি কার্যকর রয়েছে। সায়েদাবাদ ক্রসিংয়েও ওই সিগন্যাল পদ্ধতি সচল থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘ট্রেন রেলক্রসিংয়ে পৌঁছার কয়েক মনিট আগে গেটবার ফেলা না হলে অটোমেটিক রেড সিগন্যাল জ্বলে। এ সিগন্যালের কারণে অন্তত একশ’ গজ দূরেই ট্রেন থামাতে বাধ্য হন চালক। সায়েদাবাদ ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার আগে গেটবার ফেলা ছিল বলেই চালক টেন চালিয়ে গেছেন। ’
বাস চালকদের বেপরোয়া আচরণের কারণেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন জহুরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময় : ০৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১০