ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লঞ্চশূন্য সদরঘাট, যাত্রীদের ভোগান্তি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
লঞ্চশূন্য সদরঘাট, যাত্রীদের ভোগান্তি রোববার ঢাকার সদরঘাট লঞ্চঘাটে কোনো লঞ্চ দেখা যায়নি। ছবি: বাংলানিউজ

জবি: ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার রাত ১২টা থেকে সারাদেশে লাগাতার ধর্মঘট আহ্বান করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। শ্রমিকদের এ ধর্মঘটে লঞ্চশুন্য হয়েছে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বন্দর রাজধানীর সদরঘাট।

এর কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।  

রোববার (২৭ নভেম্বর) সরেজমিনে সদরঘাটে ঘুরে দেখা যায়, লঞ্চশূন্য হয়ে আছে লঞ্চ টার্মিনাল। দুই শতাধিক লঞ্চের মধ্যে ঢাকা থেকে বিভিন্ন নৌপথে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৬৫টি লঞ্চ চলাচল করলেও আজকে প্লাটুনে কোনো লঞ্চের দেখা যায়নি। ফলে সদরঘাট থেকে দক্ষিণ অঞ্চলে যাতায়াতকারী যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। ধর্মঘটের খবর না জানায় প্রতিদিনের মতো অনেক যাত্রী আসেন সদরঘাটে। লঞ্চ ধর্মঘটের খবর শুনে কেউ ফিরে যান আবার কেউ অপেক্ষা করতে থাকেন লঞ্চ চলার অপেক্ষায়।  

চাঁদপুর যাবার জন্য সদরঘাটে আসেন মাহমুদ হোসেন তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাসে চলাচল করতে অসুবিধা হয় তাই লঞ্চে চলাচল করি। ধর্মঘটের খবর আগে জানা ছিলো না তাই বাধ্য হয়ে বাসেই যেতে হবে।  

মাহাতাব লিমন নামে আরেক যাত্রী বলেন, সকাল সকাল এসে বিপদে পড়লাম। ভোরে ঘুম থেকে উঠে এসেছি লঞ্চ ধরার জন্য এসে দেখি লঞ্চ নাই।

নৌ শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে বলে জানান নৌ- যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু তাতে কতৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করছে না। একের পর এক আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোনো বাস্তবায়ন নেই। শ্রমিকদের দাবিগুলো না মানা হলে ধর্মঘট চলবে।  

নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান জানান, এর আগে গত শুক্রবার শ্রম দফতরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠক হয়। কিন্তু শ্রমপ্রতিমন্ত্রী তাদের দাবির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।  

পরবর্তী আলোচনায় শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে থেকে বিশেষ তিন দাবি উল্লেখ করা হয়। তাদের দাবি, সর্বনিম্ন মূলমুজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি ও ভারতগামী নৌশ্রমিকদের নিরাপত্তা ও ল্যান্ডিং পাসের অনুমোদন। এসব দাবি না মানা হলে ধর্মঘট আরও কঠিন রূপ ধারণ করবে বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামাল বাদল বাংলানিউজকে বলেন, নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট করেছে কিন্তু এখন আমাদের করার কিছু নেই। শ্রম মন্ত্রনালয়ে বৈঠক হয়েছে। শ্রমিক-মালিক সমঝোতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের যুগ্ম পরিচালক শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, নৌ শ্রমিকদের দাবির বিষয়টা মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। সদরঘাটে শান্তিপূর্ণভাবেই ধর্মঘট করছে শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।