ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নেত্রকোনায় শীতার্তদের মধ্যে পুলিশ সুপারের কম্বল বিতরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
নেত্রকোনায় শীতার্তদের মধ্যে পুলিশ সুপারের কম্বল বিতরণ

নেত্রকোনা: নেত্রকোনা সদরে ছিন্নমূল অসহায় শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছেন নেত্রকোনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ফয়েজ আহমেদ।  

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) মধ্য রাতে জেলা সদর উপজেলার মডেল থানাধীন শহরের বড় স্টেশন এবং কোর্ট স্টেশন এলাকায় ঘুরে ভাসমান ৩০ জন অসহায়দের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় এসপি ফয়েজ আহমেদের সঙ্গে জেলা সদর উপজেলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।  

শীতের শুরুতেই শহর এবং গ্রামের অসহায় শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ দেখে অনেকে পুলিশের প্রশংসা করছেন। বিশেষ করে মানবিক সংগঠনগুলো বলছে- সমাজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এভাবে প্রতিটি কাজে এগিয়ে এলে, বিত্ত বৈভবের মালিক যারা তারা অন্তত শিখবে।  

এদিকে কম্বল পেয়ে দারুণ খুশি অসহায় শীতার্তরা।  
 
মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ঠাণ্ডায় স্টেশন চত্বরে শুয়ে থাকা শীতবস্ত্রবিহীন ছিন্নমূল মানুষের গায়ে পড়িয়ে দেওয়া হয় কম্বলগুলো।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে এসপি ফয়েজ আহমেদ বলেন, জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া তদন্ত কেন্দ্র, মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা, বারহাট্টার ফকিরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পাশে, পুলিশ লাইন্সে সর্বমোট আড়াই শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।  
  
তিনি বলেন, শীত চলে এসেছে প্রায় পুরোপুরি। কিন্তু স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখছি, রাতে গায়ের পাতলা লুঙ্গি অথবা কাপড় পেঁচিয়ে খোলা জায়গায় মানুষ শুয়ে আছেন। এটা খুব কষ্টের। যে কারণে আমরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্থানে এমন ছিন্নমূল অসহায়দের গায়ে অন্তত কিছুটা শীত নিবারণের জন্য একটি করে কম্বল দিয়েছি।  

দুর্গাপুর উপজেলায় আদিবাসীসহ জেলার সবখানে সড়কের পাশে থাকা বা স্টেশনে থাকা, মানুষের বারান্দায় থাকা অর্থাৎ ছিন্নমূল মানুষেদের যেখানেই দেখবেন তাদের শীত নিবারণের জন্য সহযোগিতা করে যাবেন বলেও জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এসএম/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।