ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সনদ ছাড়াই চলছিল ডুবে যাওয়া সেই জাহাজ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
সনদ ছাড়াই চলছিল ডুবে যাওয়া সেই জাহাজ 

বাগেরহাট: মোংলায় ৬শ’ টন পাথর নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো ‘এম ভি মাস্টার দিদার’ এর সার্ভে সনদ ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ।  

এ অবস্থায় জাহাজ চালানোর অপরাধে এই জাহাজ মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. শাহীন মজিদ ।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. শাহীন মজিদ ডুবে যাওয়া জাহাজের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  

এরপর দ্রুত জাহাজটি বন্দর চ্যানেল থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন তিনি।

ক্যাপ্টেন মো. শাহীন মজিদ বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে জাহাজটির সার্ভে সনদের মেয়াদ শেষ হয়। এরপরেও মালিকপক্ষ  জাহাজটি চালিয়েছে। এটা অপরাধ। এজন্য জাহাজের মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন, জিয়াউর রহমান এবং আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ফিটনেসবিহীন কার্গো পশুর নদীতে চালানোর অপরাধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডুবে যাওয়া স্থান থেকে সকল প্রকার নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের  ভিটিএমআইএস সিস্টেমের মাধ্যমে ডুবে যাওয়া জাহাজের অবস্থান সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।

মোংলাবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী, চ্যানেলের মধ্যে কোন জাহাজ ডুবে গেলে সেটি অপসারণের জন্য মালিকপক্ষকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। ১৫ দিনে মধ্যে তারা সেটি না করলে বন্দরপক্ষ থেকে জাহাজটিকে অপসারণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ার তিন নম্বর অ্যাংকোরেজের লাল বয়া এলাকায় ৬‘শ টন পাথর নিয়ে ডুবে যায় ‘এম ভি মাষ্টার দিদার’। এসময় জাহাজে থাকা মাস্টারসহ ১০ জন সাঁতরে নিরাপদ স্থানে যেতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ২৫ নভেম্বর, ২০২২
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।