ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গোলাপবাগের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে অপপ্রচার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
গোলাপবাগের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে অপপ্রচার

ফরিদপুর: ফরিদপুরের পদ্মার চরের সুবিধা বঞ্চিত এলাকা ছিল গোলাপবাগ। কিন্তু গত তিন দশকের ব্যবধানে হাজী লতিফুন্নেসা ফাউন্ডেশন নামে একটি মানবসেবী সংগঠনের কল্যাণে সেই চিত্র এখন ঠাঁই নিয়েছে স্মৃতির খাতায়।

কিন্তু এ অগ্রযাত্রা ঠেকাতে সম্প্রতি অপপ্রচারে নেমেছে একটি চক্র।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি গোলাপবাগ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজে ইমাম না থাকায় ওই চক্রটি ফেসবুক লাইভে এসে অপপ্রচার চালায়।

এ প্রসঙ্গে মসজিদ কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, গোলাপবাগ হাফেজিয়া মাদরাসায় চারজন শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সম্প্রতি অন্যত্র যোগ দেন। কয়েকদিন আগে মাদরাসার অন্য তিনজনের মধ্যে একজন ছুটিতে এবং আরেকজন অসুস্থ ছিলেন। মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাদরাসার কাজে বাইরে ছিলেন। যার এশার নামাজে ইমামতি করার দায়িত্ব ছিল, তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ থাকায় ওই ওয়াক্তে তিনি ইমামতি করতে পারেননি। ওই ওয়াক্তে মাদরাসার ছাত্ররা নামাজ পড়াতে গেলে আপত্তি তোলে চক্রটি। এতে জামাত দাঁড়াতে দেরি হওয়ায় সেখানে মসজিদে দাঁড়িয়েই ফেসবুকে লাইভ শুরু করেন ওই গ্রামের এক যুবক। সে মসজিদে একজন ইমাম না থাকায় নামাজ পড়তে তাদের সমস্যার কথা উল্লেখ করে মসজিদের কমিটির সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই একজন ইমাম নিয়োগের কথা বলে। এতে বিভ্রান্তিতে পড়েন সাধারণ মুসল্লিরা।

গোলাপবাগের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী যুবক মীর্জা প্রিন্স আলী বলেন, ফেসবুকে লাইভ করে এ মসজিদের সংস্কারে বিপুল অর্থ ব্যয় করা আব্দুর রশীদ খান হারুন সাহেব এবং তার ভাই আক্তারুজ্জামান খান সাহেবের এ মহৎ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের অপমানিত করা হয়েছে। এটি লাইভে না বলে সে মসজিদ কমিটি বা গ্রামের মুরুব্বিদের জানাতে পারতো। সেটি না করে তারা অন্যায়-অপরাধ ও ভুল করেছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেন তারা। যার ফলে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তারা।

স্থানীয়দের দাবি, এরই মধ্যে গোলাপবাগে মাদকের হানা পড়েছে, কিছু কিছু মানুষ মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। যাদের কেউ কেউ ওই চক্রের সঙ্গে মিশে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই তাদের উদ্দেশ্য।

এদিকে স্থানীয়দের কেউ কেউ জনৈক আমেরিকা প্রবাসীর ইন্ধনে এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে লাইভ করা যুবক তৌহিদুল ইসলাম আলমগীর জানান, কোনো কিছু ভেবে তিনি লাইভ করেননি। মসজিদের বর্তমান কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করতেই তিনি এটি করেছেন।  

যদিও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মো. আকতারুজ্জামান খান বলেন, কোনো ধরনের অপপ্রচারে গোলাপবাগের অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।