ঢাকা: ভবিষ্যতে সব মুক্তিযোদ্ধাকে পর্যায়ক্রমে ‘ভাতা প্রদান’ কার্যক্রমের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম।
রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মো. শফিকুল ইসলামের তারকাচিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার পরিমাণ ও ভাতাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে মাসিক দেড় হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা দেওয়া হয়েছে। চলতি ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ভাতার পরিমাণ দুই হাজার টাকা এবং ভাতাভোগীর সংখ্যা দেড় লাখে উন্নীত করেছে সরকার।
দেশে এখন গেজেট অনুযায়ী এক লাখ ৯৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
অপর এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে অনেক অমুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ঢুকে পড়েছে। তাদের এ তালিকা থেকে বাতিল করার প্রক্রিয়া সরকার শুরু করেছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এ প্রক্রিয়া চলমান। এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য কেউ দিলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই করে অমুক্তিযোদ্ধাদের বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে কোনো অমুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরির বিশেষ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকলে এবং তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১০