ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আসিয়ানে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আসিয়ানে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে

ঢাকা : সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বৃহৎ আসিয়ান অঞ্চলে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট, ট্রেড রিলেশনস ও শিল্পমন্ত্রী এস ইসওয়ারান।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় সফররত সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী এস ইসওয়ারান ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এক মেমোরেন্ডাম অব কো-অপারেশন (এমওসি) সই করেন।

এমওসি সইয়ের পর ইসওয়ারান সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।  

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সেবা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এমওসিটি সই করা হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাই-কমিশনারসহ সিঙ্গপুরের ট্রেড মিনিস্টারের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিঙ্গাপুরের শিল্পমন্ত্রী এস ইসওয়ারান বলেন, এমওসি সই হয়েছে যাতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য কয়েকটি খাতে নজর দিতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশিদের ব্যবসার সুযোগ কেবল সিঙ্গাপুর আছে, এমন না বরং সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে বৃহৎ আসিয়ান অঞ্চল প্রবেশের সুযোগও রয়েছে। কাজেই একসঙ্গে কাজ করতে আমরা কী করতে পারি বা করা উচিত, তা নিয়ে ভাবতে হবে। আর এই প্রক্রিয়া শুরু করতে আমাদের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) মতো সমঝোতার ক্ষেত্রে আমাদের কী ধরনের ব্যবসা দরকার, এ নিয়ে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরে পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে কি না- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সিঙ্গাপুরে প্রতিনিয়তই আমাদের লোক যাচ্ছে। তারা চাহিদা দিচ্ছে, আমরাও লোক দিচ্ছি। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন খাতে আমাদের যে কর্মীরা কাজ করেন, তারা তো থাকবেনই। পাশাপাশি নতুন লোকও যাচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো বাধা নেই। এটি যেভাবে চলছে, সেভাবে চলমান থাকবে।  

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, আমরা এখন যা করছি, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামনের পথ নিয়ে চিন্তা করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, ডিজিটাল অর্থনীতি বলতে মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়া বোঝায় না। বরং ডিজিটাল সংযোগের মাধ্যমে সেবা দেওয়াকে বোঝায়। যদি আমাদের শক্তিশালী ডিজিটাল সংযোগ থাকে, এ জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান থাকে, তখন দূরে বসেই অনেক দক্ষতা ও সেবার আদানপ্রদান করা যাবে। কাজেই আমরা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা চাই, তার ওপর ভিত্তি করে কাজ শুরু করা দরকার।

আইটি সেক্টর, ট্যুরিজমসহ অনেক কিছুর কথা সিঙ্গাপুরের শিল্পমন্ত্রী বলেছেন উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে আমাদের যা কিছু আছে সেগুলো নিয়ে আরও প্রচার করতে হবে। বিশেষ করে ট্যুরিজম খাত। তিনি আরও একটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন যে, আমাদের কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হচ্ছে, ট্যুরিজম হাব হতে যাচ্ছে, এগুলো বেশি প্রচারসহ ব্যবহার করতে হবে। দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বসে এসব বিষয় ঠিক করবে।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর হচ্ছে। তা মনে রাখতেই এই আয়োজন। এই সম্পর্ক মাথায় রেখেই আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।

বাংলাদেশ সময় : ১৯১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২

জিসিজি/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।