ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মোমবাতি আর টর্চে চলে শেবাচিমের চিকিৎসা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
মোমবাতি আর টর্চে চলে শেবাচিমের চিকিৎসা!

বরিশাল: বিদ্যুৎহীন অবস্থা ঘিরে ধরেছে বরিশালের শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালকে। বাধ্য হয়ে বেশ কয়েকটি ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে মোমবাতি আর টর্চের মাধ্যমে।

এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোয় নিয়োজিত চিকিৎসক, সেবিকা, ওয়ার্ড বয়, ক্লিনারসহ সংশ্লিষ্টদের। রোগীরাও আছেন নানা ভোগান্তিতে।

হাসপাতালের স্টাফদের সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে হাসপাতালের জি ব্লকের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ড ৩ ও ৪, আই ব্লকের চক্ষু (পুরুষ), এ ব্লকের পুরুষ সার্জারি ১ ইউনিটে বিদ্যুৎ বিভ্রাট মারাত্মক অবস্থায় রয়েছে। সপ্তাহ দুয়েকের বেশি সময় ধরে রেডিওলজি বিভাগেও একই অবস্থা।

আরও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে এ সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসে।

হাসপাতালের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন মেরামত বা হালনাগাদ না করায় ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগী থেকে শুরু করে চিকিৎসকের। প্রায় সময় বিভিন্ন স্থানে নানা বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেয়। হাসপাতাল ও কলেজ কম্পাউন্ডে কিছু কিছু জায়গা প্রচুর আলোকবাতি নষ্ট।

হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্বজন লিটন ফরাজী বাংলানিউজকে বলেন, ওয়ার্ডের ভেতর আলোকবাতি না থাকায় দিনে যেমন তেমনভাবে চললেও রাতে অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়ে। মোবাইলের আলো, মোমবাতি বা টর্চ জ্বালিয়ে কাজ করতে হয়। অন্ধকারে টয়লেটে যাওটাও কঠিন হয়ে পড়ে।

সার্জারি ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সেবিকারা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে তারা রোগীদের ইনজেকশন দিতে পারেন না। আনুষঙ্গিক কাজেও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। মোমবাতি আর চার্জার লাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে হচ্ছে। শনিবারের (১২ নভেম্বর) মধ্যে বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হবে বলে তারা জানেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, বর্তমানে সার্জারি ওয়ার্ডগুলোয় বিদ্যুৎ নেই। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানার পর থেকে হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে বিদ্যুৎ নেই। সরকারিভাবে পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। চিকিৎসক-নার্সরাও সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছে না। রোগীরা বেকায়দায় রয়েছে। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারাও হাসপাতালটির এরূপ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।