ফেনী: ফেনী সদর উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়ার কসকা এলাকায় ঝোপ থেকে মরদেহ উদ্ধারের তিনদিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ওই মরদেহের পরিচয় শনাক্ত ও জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে ফেনী মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার পিকআপের হেলপার শরীফুল ইসলাম সোমবার (৭ নভেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ঘটনার আদ্যোপান্ত তুলে ধরে অপরাপর জড়িতদের নাম প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, নওগাঁ জেলার বাসিন্দা আবদুল খালেক (৪৫) পেশায় পিকআপ চালক। একই জেলার বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম নামে এক যুবক গত কয়েকমাস যাবত তার সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর মীরপুর থেকে গার্মেন্টসের যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে হাতিরঝিল থেকে দুলাভাই পরিচয় দিয়ে ফিরোজ নামে এক ব্যক্তিকে গাড়িতে তোলেন শরীফ। মেঘনা টোলপ্লাজার আগে বিরতীর সময় একটি দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় আরও দুইজন পিকআপের পেছনে ত্রিপলের নিচে ঢুকে পড়ে। সেখানে একটি ড্রিংকসের মধ্যে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে দেয় চালকে।
এরপর খালেক অচেতন হয়ে পড়লে শরীফ পিকআপ চালাতে থাকে। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে শরীফ ও গাড়ির পেছনে থাকা দু’জন খালেককে ড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর লেমুয়ার কসকা এলাকায় নির্জন স্থানে ঝোপের মধ্যে মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে ফেলে যায়।
পরে তারা পিকআপটি কসকা থেকে ইউটার্ন করে ঢাকার দিকে চলে যায়। কুমিল্লা বিশ্বরোড পৌঁছলে শরীফ নেমে যায়। অপর দুজন পিকআপটি নিয়ে ঢাকার গাবতলী গেলে সেখানকার কর্তব্যরত পুলিশ সিগন্যাল দিয়ে থামায়। এরপর তারা বাসা থেকে কাগজপত্র আনার কথা বলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শরীফ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় খালেকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়। বিষয়টি জানাজানির পর শরীফকে গ্রেফতার করা হলে ঘটনার পুরো রহস্য বেরিয়ে আসে। তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই এমনকি অপরাপর জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২২
এসএইচডি/এসএ
