ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘খুনি জিয়া’র কবর জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে অপসারণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২২
‘খুনি জিয়া’র কবর জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে অপসারণের দাবি মানববন্ধনে সেনা ও বিমান বাহিনীর কারাদণ্ড, চাকরিচ্যুত ও ফাঁসি হওয়া সদস্যদের পরিবারবর্গ। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে অপসারণ করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে ১৯৭৭ সালে কথিত বিদ্রোহ দমনের নামে সেনা ও বিমান বাহিনীর কারাদণ্ড, চাকরিচ্যুত ও ফাঁসি হওয়া সদস্যদের পরিবারবর্গ।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে ‘মায়ের কান্না’ নামে এক সংগঠনের আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন মায়ের কান্না সংগঠনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মিয়া লেলিন।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারী খুনি জিয়া সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নির্মমভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারের কাছে সাত দফা দাবি পেশ করছি।

দাবিগুলো হলো- ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্য যারা খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের নির্দোষ ঘোষণা করা।  যারা খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ফাঁসি-কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ পদে সর্বোচ্চ র‍্যাংকে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক। খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনা ও বিমান বাহিনী সদস্যদের অন্যায়ভাবে ফাঁসি হয়েছে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ হিসেবে ঘোষণা করা এবং তাদের কবর চিহ্নিত করে কবরস্থানের নামসহ-স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করা। একই সময়ে যারা খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন সেসব সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের পুর্নবাসন করার লক্ষ্যে তাদের পোষ্যদের যোগ্যতা অনুসারে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া। সেসময় খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের অন্যায়ভাবে কারাদণ্ড, চাকরিচ্যুত ও ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ করা। অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার চাই। এছাড়া ষড়যন্ত্রকারী খুনি জিয়ার তথাকথিত কবর জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে অপসারণ করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ (বীর বিক্রম), মাহাবুব উদ্দীন আহমদ (বীর বিক্রম), ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) নাহিদ এজাহার খান এবং ১৯৭৭ সালে গণফাঁসির শিকার সেনা ও বিমান বাহিনীর পরিবারের সদস্যরা।

মানববন্ধন শেষে চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে বিজয়সরণি পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। ‌

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২২
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।