ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নীলক্ষেতের তুলা মার্কেটে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে সিটি করপোরেশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
নীলক্ষেতের তুলা মার্কেটে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে সিটি করপোরেশন

ঢাকা: রাজধানীর নীলক্ষেতের রোডসাইড মার্কেটের (তুলা মার্কেট) সব অবৈধ দোকান ভাঙার কাজ চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলার নকশা বহির্ভূত ১৪৮টি দোকান ভাঙার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান।

রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেট ভাঙার জন্য সিটি করপোরেশন থেকে একটি পে-লেডার, একটি হুইল এক্সকাভেটর, হাইড্রলিক লেডার এবং ২টি ডাম্প ট্রাক আনা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ২২ জন সদস্য রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে। এছাড়াও রয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স।

এদিকে মার্কেটের নিচতলার বৈধ দোকানগুলোর পাহারায় সেইসব দোকানের কর্মচারীরা প্রতিটি দোকানের সামনে অবস্থান করছেন। দুই ও তিনতলায় সিটি করপোরেশনের ৫০ জন কর্মী ভেতরের অংশ ভাঙার কাজ চালাচ্ছেন।

নাসির উদ্দিন নামে সিটি করপোরেশনের একজন কর্মী জানান, আমরা সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন অংশ ভাঙার কাজ শুরু করেছি। ভাঙা জিনিসপত্রগুলো দুই ও তিন তালা থেকে নামানোর পর দুই ও তিন তলা পুরোপুরি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।

সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান বলেন, নীলক্ষেত সিটি করপোরেশনের তুলা মার্কেটে ৩৫টি বৈধ দোকানের ওপরে অবৈধভাবে দেড় শতাধিক দোকান তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এটা নজরে আসার পর যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেয়রের নির্দেশমতো আমরা এ অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করছি।

তিনি আরও বলেন, এই মার্কেটের দুইও তিন তলা তৈরিতে কোনো প্রকৌশলী নিয়ম মানা হয়নি। যার ফলে প্রকৌশলীরা মেয়রকে বিষয়টি জানিয়েছেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে। এটি মেয়রের অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে দোকান মালিকরা বলছেন একেক সময় একেক মেয়র এসে নিজেদের ইচ্ছেমাফিক কাজ করেন। তার ফল পোহাতে হয় সাধারণ ব্যবসায়ীদের।

এই বিষয়ে এ মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান বলেন, মেয়রের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ফল পাইনি। একেক মেয়রের একেক সিদ্ধান্ত। এত টাকা খরচ করে এগুলো করেছি। প্রতি দোকানে ৫/৭ জন কর্মী আছে। এখন আত্মাহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

তিনি বলেন, ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর। আর এই দোকান তো আমরা সিটি করপোরেশন থেকেই বরাদ্দ পেয়েছিলাম, অনেক আগের বরাদ্দ। কাগজে সমস্যা থাকলে সেটা সিটি করপোরেশন জানে, আমরা জানি না।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, ৬ নভেম্বর, ২০২২ 
এইচএমএস/ইআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।