নাটোর: নাটোরের নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের নিজস্ব কৃষি খামার ও আখ চাষীদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে বরাদ্দ ৫শ’ মেট্রিক টন ইউরিয়া ও ৪৫০ মেট্রিক টন এমওপি সার উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ফলে জমিতে সার দিতে পারেনি চাষীরা।
মিলের কৃষি মহাব্যবস্থাপক আখতার হোসেন জামিল বাংলানিউজকে জানান, টাকার অভাবে সার ক্রয় করতে না পারায় মোট ৩২ হাজার একর জমিতে সময়মত সার দেওয়া যায়নি। এতে আখ গাছের বৃদ্ধি ও ফলন কম হবে।
এদিকে মিলের গুদামে মজুদ আছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা মূল্যের চিনি। মিলের উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হওয়ায় অর্থাভাবে আখ চাষীদের পাওনা, মিলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য এ মুহূর্তে প্রয়োজন সাড়ে ৫ কোটি টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, চিনি শিল্প করপোরেশনের নির্ধারিত ডিলাররা বেসরকারি চিনিকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে রাষ্ট্রায়াত্ব চিনিকলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এরই অংশ হিসেবে তারা পরিকল্পিতভাবে বরাদ্দকৃত চিনি নিয়মিত উত্তোলন না করায় চরম অর্থ সংকটে পড়েছে মিল কর্তপক্ষ।
নর্থঙ্গেল সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হাবীবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রায়াত্ব মিলের চেয়ে বেসরকারি মিলের চিনির দাম কম এই অজুহাতে ডিলাররা মিলের চিনি তুলছেন না।
ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবনতাও মিলের চিনি না তোলার একটা কারণ। ফলে নগদ টাকার কোনো ব্যবস্থা করতে না পেরে খোলা বাজারে চিনি বিক্রির উদ্যোগও সফল হয়নি। অথচ বাজারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিনি প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় চিনি ডিলার সানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিনির দাম প্রতি কেজি ৫৩ টাকা। রাষ্ট্রায়াত্ব মিলের চিনির দাম ৫৫ টাকা। এর ওপর রয়েছে পরিবহন খরচ। এ কারণে সুগার মিল থেকে চিনি তুলে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১২
প্রতিবেদন: স্বপন দাস
সম্পাদনা: মামুন উর রশীদ, নিউজরুম এডিটর