ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা তদন্তে আরও ৬০ দিন সময় পেল সিআইডি

রমেন দাশগুপ্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা তদন্তে আরও ৬০ দিন সময় পেল সিআইডি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য আরও ৬০ দিন সময় দিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেেিত রোববার দুপুরে শুনানি শেষে ভারপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ইনামুল হক ভূঁইয়া আগামী ২৪ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।



এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার অধিকতর তদন্তের মেয়াদ দশ দফা বাড়ানো হল। এর আগে গত ২৫ জুলাই আদালত নবম দফায় তদন্তের মেয়াদ ৬১ দিন বাড়িয়েছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের এএসপি মো. মনিরুজ্জামান আরও ৯০ দিন সময় চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামালউদ্দিনের মাধ্যমে আদালতে আবেদন জানান।

নির্ধারিত শুনানির দিন রোববার মহানগর পিপি আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দশ ট্রাক অস্ত্র আনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব ওমর ফারুকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উল্লেখ করে ইতিমধ্যে কয়েকজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের যোগসাজশেই একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছিল। কারা এ অস্ত্র চালান সরবরাহের সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন। ’

মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুনানি শেষে বিচারক ৬০ দিন সময় বাড়িয়েছেন। এর ফলে ২৪ নভেম্বর অথবা এ সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। ’

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) জেটিঘাটে খালাসের সময় দশ ট্রাক অস্ত্র আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে অস্ত্র আটক ও চোরাচালান আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় পুলিশ এর আগে চার্জশীট দাখিল করলেও বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ১২ ফেব্র“য়ারি মহানগর দায়রা জজ মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

অধিকতর তদন্ত শুরুর পর থেকে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি এ পর্যন্ত গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক দুই মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, সাবেক পরিচালক উইং কমান্ডার শাহাবুদ্দিন, উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন, সিইউএফএল’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন চৌধুরী ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) একেএম এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে কয়েকজন এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মো.মনিরুজ্জামান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘স্পর্শকাতর এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে একটি নির্ভুল চার্জশীট দিতে আরও তদন্তের প্রয়োজন। এজন্য ৯০ দিন সময় চেয়েছিলাম। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।