ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনা আ’লীগের নেতারা আত্মসমর্পণের পর জেলহাজতে

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০
পাবনা আ’লীগের নেতারা আত্মসমর্পণের পর জেলহাজতে

পাবনা: নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্রে হামলা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করা মামলার আসামিদের রোববার সকালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সকাল সোয়া ১১টা দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুইটের নেতৃত্বে ২১ নেতাকর্মী পাবনা আমলী আদালত-১ এর বিচারক লায়লা শারমীনের আদালতে আত্মসমপর্ণ করেন।



এসময় অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ বাবুর নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক আইনজীবী আসামিদের জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ বাবু বাংলানিউজকে বলেন, ‘ জামিনের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবো। ’

আত্মসমপর্ণকারীরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুইট, পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান, অ্যাডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পিয়াল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, সাবেক ভিপি সন্তোষ হাওলাদার,  জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক এনায়েত হোসেন দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির হাসান রুবেল, ত্রাণ সম্পাদক মো. সজল, পৌর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মো. স্বপন, যুবলীগ কর্মী রেজা, শরীফ, হারুন, লালু, আরিফ, আলাল, বাবু, ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান ও সবুর।

আত্মসমপর্ণের আগে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুইট সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলা প্রশাসন যে মামলা করেছেন তা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমরা জড়িত নই। আইনগতভাবে মামলা মোকাবেলা করা হবে।

এদিকে পৌর আওয়ামী লীগের ডাকা ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু ইসহাক সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা জানান।

ডিসি ও এডিসির (সার্বিক) প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার পাবনা পৌর আওয়ামী লীগ জরুরি বৈঠকে ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে পাবনা জেলা প্রশাসনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ’র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় সরকারি কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা চারটি গাড়ি ভাঙচুর করে। ওই রাতেই জেলা প্রশাসনের দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাদী হয়ে সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।