নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঁনমারী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ কোর্টের উত্তর পাশে আইনজীবী দম্পতির বিরুদ্ধে টিনের ঘর দেখিয়ে চার তলা বাড়ি ক্রয় করে সরকারের প্রায় এক কোটি টাকা রেজিস্ট্রি ফি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আইনজীবীরা জানান, ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জ কোর্টের প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী সুরুজ আলী কোর্টের উত্তর পাশে আজমিরীবাগ রোডে আয়কর অফিসের বিপরীতে সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়নের খানপুর মৌজায় ৪.৩৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এরপর এ জমিতে ৪তলা একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। এ বাড়িতে অধিকাংশ ভাড়াটিয়াই আইনজীবী। অ্যাডভোকেট সুরুজ আলীর মৃত্যুরপর তার স্ত্রী-সন্তানরাই বাড়িটি দেখা শোনা করতেন।
সম্প্রতি আইনজীবীরা জানতে পেরেছেন ২৫ সেপ্টেম্বর বাড়িটি আইনজীবী দম্পতি মো. আব্দুস সালাম ও নাছিমা আক্তারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তারা ফতুল্লা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে তথ্য গোপন করে চার তলা বাড়িটিতে টিনের ঘর দেখিয়ে জমিটি এক কোটি টাকা দিয়ে ১২৮৮১ নম্বর দলিলে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এতে আইনজীবী দম্পতি সরকারের প্রায় ৯১ লাখ ৫৮ হাজার ৪০০ টাকা বহুতল ভবনের রেজিস্ট্রেশন ফি ফাঁকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি জানান আইনজীবীরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক জানান, বহুতল ভবনসহ জমি ক্রয় বিক্রয় হলে ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন হলে প্রতি বর্গফুট ভবনের রেজিস্ট্রেশন ফি সরকার নির্ধারণ করেছে ১২শ টাকা। যদি জমিটিতে চার তলা বাড়ি হয় তাহলে ৪.৩৭ শতাংশ জমিতে ১৯০৮ বর্গফুট ভবন হবে। সেই হিসাবে ৪ তলা ভবনের মোট আয়তন হবে ৭৬৩২ বর্গফুট। তাদের ৯১ লাখ ৫৮ হাজার ৪০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি সরকারের কোষাগারে ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে জমিসহ বাড়িটি ক্রয় করা আইনজীবী আব্দুস সালাম বলেন, অনিচ্ছাকৃত ভাবে জমি রেজিস্টেশনে চার তলা বাড়ির জায়গায় টিনের ঘর লেখা হয়েছে। এটি আমাদের ভুল হয়েছে। বিষয়টি সংশোধন করে নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
এমআরপি/এসআইএস