ঢাকা, বুধবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ মে ২০২৪, ২০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন

টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়ায় ২ ভোটারকে পিটুনি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়ায় ২ ভোটারকে পিটুনি মারধরের শিকার স্বপ্না আক্তার

গাজীপুর: গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্যসহ দুই ভোটারকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পরাজিত এক প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় রোববার (২৩ অক্টোবর) ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের ইউপি সদস্য স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে আসামি করে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পিটুনিতে আহত হয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলার পাবুরিয়াচালা এলাকার মাজেদুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার। তিনি ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য। একই ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল ইসলামকেও পিটিয়েছেন পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা।

আহতদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলমের বাড়িতে শনিবার সন্ধ্যায় পরিষদের সকল সাধারণ ও নারী সদস্যদের তলব করা হয়। জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল, ওয়াজেদ আলী, লিটন সরকার, জয়নাল সিকদার ও নবীর হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত হন।

বৈঠকে টাকা নিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাককে কেন ভোট দেওয়া হয়নি এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকা ওই প্রার্থীর কয়েকজন সর্মথক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য স্বপ্না আক্তার ও ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামকে মারধর করেন।

এক পর্যায়ে শফিকুল ইসলাম দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে আশপাশের লোকজন নারী সদস্যকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

নারী ইউপি সদস্য স্বপ্না আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান তার বাড়িতে সকল সদস্যকে ডেকে নেন। আমরা সেখানে উপস্থিত হলে জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাককে কেন ভোট দেওয়া হয়নি এ নিয়ে চাপ প্রয়োগ করেন। আমরা ভোট দিয়েছি বললেও আব্দুর রাজ্জাকের বেশ কয়েকজন সমর্থক আমাকে এবং আরেক সদস্যকে মারধর করেন।

জেলা পরিষদের পরাজিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক জানান, চেয়ারম্যানের বাড়িতে বৈঠক বসার খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। এ সময় সবাই আমাকে ভোট দিয়েছেন শুনে আমি চলে আসি। পরে সেখানে কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই।

ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম সরকার জানান, বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সভা শেষে যার যার মতো সবাই বাড়ি ফিরে যান। পথে কী হয়েছে বা কে কাকে মেরেছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২ 
আরএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।