ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গাড়ি ছিনতাইকারী ধরার পর জানা গেল তিনি ফাঁসির আসামি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
গাড়ি ছিনতাইকারী ধরার পর জানা গেল তিনি ফাঁসির আসামি

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইজিবাইকচালক সুজন সিকদারকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেয়েছেন রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ (৩৬)। এ সাজা মাথায় নিয়ে এতোদিন আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে র‌্যাবের হাতে আটক হলেন তিনি।

রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১২ এর কমান্ডিং অফিসার অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, শনিবার (২২ অক্টোবর) রাতে ঢাকার সাভার এলাকায় গাড়ি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের ধরতে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে রাকিবুলকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার সম্পর্কে তদন্ত করে পরে জানা যায়, তিনি ছিনতাই ও হত্যার দায়ে এরই মধ্যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেয়েছেন।  
 
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ দুপুরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি গ্রামের বাসিন্দা মুনজিল সিকদারের ছেলে ইজিবাইক চালক সুজন সিকদারকে ইজিবাইকসহ অপহরণ করা হয়। পরে ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের হাশেম আলীর লিচু বাগানে সুজনের গলা কাটা মরদেহ পায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আলমগীর সিকদার ভেড়ামারা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডির সেই সময়ের পুলিশ পরিদর্শক মহানন্দ সিং ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি রাকিবুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে।

মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত ৪ অক্টোবর কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম দুই আসামিকে যাবজ্জীবন ও রাকিবুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি শরিফুল (৩১) ও রাজু মোল্লা (২৬) রায় ঘোষণার পর থেকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। আর রাকিবুল ছিলেন পলাতক। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দত্তপাড়ার খন্দকার ইউনুস আলীর ছেলে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।