ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নড়াইল থেকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খুলনায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
নড়াইল থেকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খুলনায়

নড়াইল: বাস-ট্রলার, কার্গো, নৌকা, ফেরি সবই যখন বন্ধ তারপরেও থেমে নেই খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশে যোগদান। নড়াইলের তিন উপজেলা থেকে সামবেশে যোগ দিতে বিকল্প পথে খুলনায় যাচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে অনেকে ট্রলারে, আবার অনেকে ইজিবাইক বা মোটরসাইকেলে ভেঙে ভেঙে খুলনায় যাচ্ছেন।

শনিবার (২২ অক্টোবর) ভোর থেকেও অনেক নেতাকর্মী খুলনার উদ্দেশ্যে গেছেন বলে নড়াইল বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

ইতোমধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়ার রিজভী জজ, জেলা যুবদলের সভাপতি মশিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাদাত কবীর রুবেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সানির নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার ভোর থেকে নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়ার তিন উপজেলা থেকে খুলনাগামী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) নড়াইল থেকে খুলনাগামী বাস চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। এতে নড়াইলের অনেক নেতা-কর্মী আগেই খুলনায় পৌঁছে গেছেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাস-ট্রলার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগেই কালিয়া ও লোহাগড়া থেকে নেতা-কর্মীরা খুলনা চলে গেছেন। এছাড়া নড়াইল সদর উপজেলার নেতা-কর্মীরা অটোরিকশা, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলে করেও এসেছেন। আমাদের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ইতোমধ্যে সমাবেশ স্থানে হাজির হয়েছেন।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদীপথ বন্ধ হওয়ার আগেই মধুমতি ও নবগঙ্গা নদী দিয়ে কালিয়া ও লোহাগড়ার অনেক নেতা-কর্মীরা ট্রলার ভাড়া করে খুলনায় গেছেন। এর আগে ইজিবাইক, ভ্যান, মোটর চালিত ভ্যানে করেও অনেককে খুলনায় যেতে দেখা গেছে।

নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী বলেন, বাস বন্ধ করে মহাসমাবেশে যাওয়া ঠেকানো যাবে না। যারা মহাসমাবেশে যাওয়ার, তারা যত বাধাই আসুক না কেন বিকল্প পথে সমাবেশে যাবেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে নড়াইল জেলা থেকে ১০ হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন।

তবে নড়াইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বাস চলাচল বন্ধের পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই বলে দাবি করেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কে অবৈধভাবে নছিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবিতে বাসমালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন। এছাড়া ভাঙচুর ও যেকোনো ধরণের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় যানবহন বন্ধ রেখেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।