ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দিনেও জ্বলছে সড়ক বাতি

সাগর ফরাজী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
দিনেও জ্বলছে সড়ক বাতি ছবি: বাংলানিউজ

সাভার (ঢাকা): বিদ্যুতের এ বিপর্যয়ের সময়ে বিদ্যুৎ অপচয় রোধে সরকার লোডশেডিংসহ নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে ৷ তবে সড়ক ও জনপথের কিছু কর্মকর্তার উদাসীনতার কারণে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কিছু অংশে দিনের আলোতেও জ্বলছে 'সড়ক বাতি'। এতে অপচয় হচ্ছে বিদ্যুৎ।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিমুলতলা এলাকা থেকে সাভার বাস স্ট্যান্ড রাজালাখ এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক সড়ক বাতি জ্বলতে দেখা গেছে।

এছাড়া ফুটওভার ব্রিজে দেওয়া সড়ক নির্দেশিকার বোর্ডগুলোতেও আলো জ্বলতে দেখা গেছে।

সড়কের দু’পাশের বাসিন্দাদের কাছে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ সড়কের বিভিন্ন স্থানে দিনের বেলাতে সড়ক বাতি জ্বলে থাকে। মাঝেমধ্যে দিনভর জ্বলে এসব বাতি। কোনো কোনো সময় দুপুরে এসে সড়কের কর্মচারীরা বাতি নিভিয়ে রেখে যায়।

সড়কের পাশে সাভারের সিটি সেন্টারের বাসিন্দা মো. শাজাহান বাংলানিউজকে বলেন, আমি সড়কে সকাল সন্ধ্যা যাতায়াত করি। কয়েকদিন আগেও সড়কের বাতিগুলো জ্বলতে দেখেছি। অথচ রাতে সড়কে বিভিন্ন স্থানে বাতি জ্বলে না। আজও দেখলাম। বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে আমরা বাড়িতে বিদ্যুৎ পাই না। দিনে ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। আর সড়কের কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ অপচয় করে।

বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাভার অংশের সুপারভাইজার জাকির হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।

পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার খাদেমুল ইসলাম (ওএনএম) বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের বাতিগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে না। এ বাতিগুলোর কন্ট্রোল সুইচ সড়ক ও জনপথের হতে। আমি তাদের কয়েকবার ফোন করেও জানিয়েছি। কিন্তু তাদের টনক নড়ছে না।

তিনি আরও বলেন, এখন সাভারে ১০০ মেগাওয়াটের উপরে লোডশেডিং হচ্ছে। যেখানে জনগণ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না সেখানে তাদের উদাসীনতা করাটা খুব খারাপ হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ঢাকা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব-ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার মারুফ হাসান বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের বাতি নিয়ে একটু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত এ সড়কের বাতিগুলোর টাইমার দেওয়া অর্থাৎ সয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে এবং নেভে।  এখানে আমরা কিছু মেকানিক্যাল সমস্যায় পড়ি। যদি বৃষ্টি হয় এ টাইমারটা পরিবর্তন হয়ে যায় অথবা যদি দুর্ঘটনার কারণে সড়ক বাতির পুলে ধাক্কা লাগে তাহলেও টাইমারের সমস্যা হয়। আমাদের টিম সব সময় সড়কে টহলরত থাকে। যেখানে সমস্যা হয় সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিম টাইমারটি ঠিক করে ফেলে।

তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ বৃষ্টির কারণে এ সমস্যাটা তৈরি হয়েছে। আমি বাতি জ্বলার খবর জানতে পেরে একটি টহল টিম পাঠিয়েছি। গাবতলী থেকে টাইমারগুলো পরিদর্শন করতে করতে নবীনগর যাওয়া পর্যন্ত বেলা ১২টা বেজে যায়। যেহতু বর্ষাকাল শেষ তাই আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি যেনো টাইমারগুলো উন্নত মানের নিয়ে ওয়াটারপ্রুফ করে দেওয়া হয়। আর এ সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধানের চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর ২০২২
এসএফ/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।