ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেখ হাসিনা সত্যিই বিরল ও অনন্য: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২২
শেখ হাসিনা সত্যিই বিরল ও অনন্য: স্পিকার

ঢাকা : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গ্রন্থ রচনা একটি দুঃসাহসিক অভিযান। অসংখ্য ঘাত-প্রতিঘাত ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করা সত্যি বিরল ও অনন্য।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি রচিত ‘বিশ্বে বিরল অনন্য শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়ালি বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।

শিরীন শারমিন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বিশ্বে বিরল অনন্য শেখ হাসিনা গ্রন্থটিতে প্রধানমন্ত্রীর বাল্যকাল থেকে অদ্যাবধি জীবনের বিভিন্ন পর্যায়গুলো সন্নিবেশিত হয়েছে। গ্রন্থটি পাঠের মাধ্যমে পাঠক অনুধাবন করতে পারবেন শেখ হাসিনা সত্যিই বিরল ও অনন্য। বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষায় বইটি প্রকাশিত হচ্ছে যা পাঠকদের জন্য যুগোপযোগী।

স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনকে ধারণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা সংগ্রাম করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলার মানুষ ও উন্নয়ন নিয়ে শেখ হাসিনার দর্শন, গণতন্ত্রের প্রতি একনিষ্ঠতা ইত্যাদি বিষয়গুলো সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, একদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলার পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তার পিতার দেখানো পথে এগোচ্ছেন। অন্যদিকে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে তিনি মানবতার মা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সারা বাংলাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য নয় লাখ ঘর তৈরির পরিকল্পনা তিনি বাস্তবায়ন করছেন। অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলো যেন সকল মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন। পারিবারিক জীবনে একজন মা হিসেবে সন্তান গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তিনি সফল। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে উন্নয়নশীল দেশের পথে এগিয়ে নেওয়া, ২০৪১ সালের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়নের সুদূরপ্রসারী চিন্তা তার মতো দক্ষ প্রশাসকের পক্ষেই সম্ভব।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কবি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২২
এসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।