ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দখল-লুটের মামলা, চান্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার সাময়িক বরখাস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২২
দখল-লুটের মামলা, চান্দপুর
ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার সাময়িক বরখাস্ত সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও মেম্বার

কিশোরগঞ্জ: মামলায় আসামি হওয়ায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাফুজুর রহমান ও চার নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শহীদুল হক উজ্জ্বলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  

বুধবার (১২ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

 

এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের কপি কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি), কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেন জেলা প্রশাসক। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, যেহেতু এ চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি আমলে নেওয়া হয়েছে, ফলে তাদের পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় বলে সরকার মনে করে।

ফলে চেয়ারম্যান মাফুজুর রহমান ও মেম্বার শহীদুল হক উজ্জ্বলের করা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪ (৪) ধারায় অপরাধ সংঘটিত করায় একই আইনের ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী উল্লিখিত ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।  

জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের মঞ্জিলেরকান্দা গ্রামের আনোয়ার আলী ভূঁইয়ার বাড়িঘর ভেঙে দখল নিয়ে মালপত্র লুটপাট করা হয়।  এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মাফুজুর রহমান ও মেম্বার শহীদুল হক উজ্জ্বলসহ ১৩ জনের নামে গত ১০ আগস্ট কিশোরগঞ্জের এক নম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার আইনের ৪(১)/৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী আনোয়ার আলী ভূঁইয়া। গত ১১ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ নয়জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ আফরোজা জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে বর্তমানে তারা জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।