ঢাকা: রাজধানীর জুরাইনে দুই শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ রিতার আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গাড়িচালক আল আমিনকে আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আল আমিনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে আদালতের সাধারণ তথ্য কর্মকর্তা এসএম সালোয়ার হোসেন আদালতকে জানান, গাড়িচালক আল আমিন রিমান্ডের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ফার্মেসি মালিক গাফফারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও তথ্য জানতে তাকে আবারও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গেয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপরে আইনজীবী কামরুল হাসান খান আসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-কে জানান, গাড়িচালক আল আমিন এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এটি আতœহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুন দিবাগত রাতে জুরাইনের ২২৯ আলমবাগের বাসায় পুলিশ ফারজানা কবির রীতা, তার ছেলে পবন ও মেয়ে পায়েলের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরের দিন রীতার মা মাজেদা বেগম বাদী হয়ে রীতার স্বামী রাশেদুল কবীরসহ ৮জনকে আসামি করে কদমতলী থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন রাশেদুল কবীরের দ্বিতীয় স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা স্মৃতি, ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি ও রীতার শ্বশুর শফিকুল কবির, শ্বাশুড়ি নুর বানূ, ননদ কবিতা, সুখন কবীর ও ভগ্নিপতি দেলোয়ার হোসেন। রাশেদুল কবীর ও স্মৃতি ছাড়া সব আসামিকে পুলিশ এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে। তাদের ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি পুলিশ। কাল শনিবার রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হতে পারে।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময়: ১৯৩৫ঘণ্টা, জুন ২৫’ ২০১০
এমআই/এনএস/জেএম