ঢাকা: রাজধানীর আদাবরে শিশু ওয়াফি হত্যার ঘটনায় তার মা আয়েশা হুমায়রা ওরফে এশাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার বিকাল পৌণে চারটায় ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক মোস্তফা শাহরিয়ার খান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক সাহান হক সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
আসামিপে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা হুমায়রা ওরফে এশা ও স্ত্রীর কথিত প্রেমিক শামসুজ্জামান ওরফে আরিফকে আসামি করা হয়। আদাবর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়েশা হুমায়রাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজাহার বলা হয়, আসামি আয়েশা হুমায়রা এশা ও কেএম আজিম দম্পতির একমাত্র সন্তান খন্দকার শামিউল আজিম ওরফে ওয়াফি (৬) গত ২২ জুন বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বাসার সামনে খেলতে গিয়ে নিঁখোজ হয়। আজিম ওইদিন আদাবর থানায় একটি জিডি করেন। জিডির নম্বর ১১১৯।
বাদী অভিযোগ করেন, শামসুজ্জামান আরিফের সঙ্গে তার স্ত্রীর তিন বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। তার অনুপস্থিতিতে আরিফ তার বাসায় যেত। ১৯ জুন রাত সাড়ে ১১ টায় বাসায় ফেরার পথে বাড়ির দারোয়ান বাবলু জানায়, বাসায় রাত সাড়ে আটটায় একজন এসেছে। বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী এশাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, সিডি মেরামত করতে মিস্ত্রি এসে চলে গেছে। প্রেমিক আরিফ পরদিন ২০ জুন আবারও তার বাসায় যান। বের হওয়ার সময় কৌশলে তাকে আটক করে দারোয়ান। আয়েশা হুমায়রা এসে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
এরপর ২২ জুন ওয়াফি নিখোঁজ হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে বলেন, আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার কথিত প্রেমিকের সঙ্গে মেলামেশার দৃশ্য দেখে ফেলেছিল বলেই হয়তো শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ধারের জন্য এশাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আসামিপে কোনো আইনজীবী না থাকলেও আয়েশা হুমায়রা এশা আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, ‘আমার একটু সমস্যা আছে, কিন্তু আমি খুন করিনি। খুনের সঙ্গে আমি জড়িত না। আমি একাই লড়ছি, আমার পাশে কেউ নেই। আমার বাচ্চাকে আমি মেরে ফেলতে পারি না। ’
আদালত উভয়পরে বক্তব্য শুনে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১০
এমআই/বিকে/জেএম