ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পুনর্বাসনের চাল দ্রুত হাতে চান উপকূলের জেলেরা

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২২
পুনর্বাসনের চাল দ্রুত হাতে চান উপকূলের জেলেরা

ভোলা: ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। ফলে জেলেদের রোজগারও বন্ধ।

তবে এ সময় জেলেদের সহায়তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারা চান, সেই বরাদ্দের চাল যেন সময়মতো তাদের হাতে আসে।  

জেলেরা বলছেন, প্রতিবারই নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের হাতে চাল পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। এতে তাদের ধার-দেনা করে চলতে হয়। দেনায় দায়ে তাদের বার বার সংকটে পড়তে হয়। তাই এবার যেন পুনর্বাসনের চাল দ্রুত দেওয়া হয়।  

উপকূলীয় বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ ধরা বন্ধ, তাই ঘাটে ভেড়ানো হয়েছে শত শত জেলে নৌকা-ট্রলার। জেলেদের মধ্যে কেউ জাল বুনছেন কেউবা ঘাটে অলস সময় পার করছেন। কেউ আবার নৌকা ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত। কেউ বাড়ি ফিরে গেছেন। ঘাটে নেই হাঁকডাক-কোলাহল।

লালমোহনের বাত্তির খাল মৎস্য ঘাটের জেলে মো. মফিজ বলেন, মাছ ধরা বন্ধ, তাই ঘাটে ট্রলার নোঙ্গর করেছি। এখন ইঞ্জিন মেরামত করছি।
 

 

জেলে আবু কালাম বলেন, স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারে ৬ সদস্য চালাতে হয়, মাছ ধরেই জীবিকা চলে। ইলিশ ধরা বন্ধ, আমরা দ্রুত চালটা পেলে ভালো হতো।

জেলে মাকসুদ, সালাউদ্দিন ও জামাল মাঝিসহ অন্যরা জানালেন, আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ শিকারে যাই না, কিন্তু আমাদের কিছু দাবি আছে সরকারের কাছে। যথাসময়ে চাল দেওয়া এবং নিষেধাজ্ঞার সময়ে এনজিও কিস্তি বন্ধ রাখা। এগুলো হলে আমাদের মত অনেক জেলের অনেক উপকার হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা নদীতে যায়, তারা নিরুপায় হয়েই যায়।

খোঁজ নিয়ে নিয়ে জানা গেল, ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার পুর্নবাসনের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে, সেই চাল নানা জটিলতায় ঠিক সময়ে পান না জেলেরা। কবে পাবেন তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এমন বাস্তবতায় অভিযানের মধ্যেই চাল বিতরণের দাবি জেলেদের।

 

 

শুধু তাই নয়, নিবন্ধিত হয়েও নিষেধাজ্ঞার সময়ে সব জেলের হাতে সরকারি সহায়তা না পৌছানোর অভিযোগও আছে।  

তবে এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রুহুল কুদ্দুছ জানালেন, শিগগিরই জেলেদের চাল দেওয়া হবে। আমরা চেয়ারম্যানদের সেই নির্দেশনা দিয়েছি।

ভোলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেরা যাতে নদীতে না যায়, সে জন্য ঘাটগুলোতে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছে। জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল খুব দ্রুত বিতরণ করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার। এদের মধ্য চাল পাবেন এক লাখ ৩২ হাজার জেলে। বাকিরা থাকবেন বঞ্চিত।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২২
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।