ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

আটা-ময়দায় রং মিশিয়ে বানানো হতো প্রসাধনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২২
আটা-ময়দায় রং মিশিয়ে বানানো হতো প্রসাধনী

ঢাকা: ভাতের মাড়, আটা ও ময়দার সঙ্গে সুগন্ধী আর রং মিশিয়ে তৈরি কিরা হতো প্রসাধনী। পরে সেই ভেজাল পণ্যগুলোতে লাগানো হতো বিদেশি বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের লেবেল।

এরপর সেগুলো সরবরাহ করা হতো রাজধানীর নামীদামি বিপণিবিতান আর সেলুনে।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি বাড়িতে এমন একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। নকল প্রসাধনী তৈরির কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সেখান থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন—কারখানার মালিক মো. জাহিদ খান ওরফে বাদশা (২০), কর্মচারী মো. আরিফ হোসেন (২২), মো. নাজিম উদ্দিন ওরফে বিপ্লব (১৮), মো. রবিউল হোসেন ওরফে রবিন (২৬), মো. মারুফ হোসেন (১৬), মো. জামাল হোসেন (৩০) ও মো. হারুন (২৮)। পলাতক রয়েছেন বাড়ির মালিক মো. ছারওয়ার আলম (৫৭) এবং কারখানার অপর দুই মালিক মো. সবুর ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. আবুল কালাম।

গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুর রহমান জানান, কয়েক জন ব্যক্তি কামরাঙ্গীরচর থানার ইব্রাহীমনগর বালুর মাঠের হাজী মো. ছারওয়ার আলমের বাড়ির ৬ষ্ঠ তলার একটি কারখানায় অবৈধ ভেজাল ক্রিম, বডি লোশন, তেল, হেয়ার স্প্রে, জেল ও ফেস প্যাকসহ বিভিন্ন প্রসাধনী তৈরি করে আসছেন—এমন তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় নকল প্রসাধনীসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে ভিত্তিতে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আসামিরা  অবৈধভাবে স্থাপিত ভেজাল প্রসাধনী তৈরি কারখানার কর্মচারী। এ ভেজাল কারখানার মালিক মো. সবুর ইসলাম ওরফে সবুজ ও বাড়ির মালিক হাজী মো. ছারওয়ার আলমসহ আরও দুজন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান।

মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ভেজাল প্রসাধনী তারা রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্রি করে আসছিলেন। এ বিষয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২২
এমএমআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।