ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঘাট ইজারাদার-মাঝির অদক্ষতায় পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২২
ঘাট ইজারাদার-মাঝির অদক্ষতায় পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি ফাইল ফটো

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট ইজারাদার ও মাঝির অদক্ষতাকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আরও বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) রাত ৮টায় বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম। তবে প্রতিবেদন নিয়ে এর বেশি বিস্তারিত জানাননি তিনি।  

এর আগে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাটে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ওই দিনেই পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি রোববার (২ অক্টোবর) দিনগত রাতে জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

রাতে এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন দিক অনুসন্ধান করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। রোববার রাতেই প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করা হয়েছে।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পূর্ণাঙ্গ বিষয়টি হাতে এলে প্রকাশ করা হবে। তবে বেশকিছু দিন যাচাই বাছাই করে প্রথামিকভাবে নৌকাডুবির ঘটনায় ইজারাদার এবং অদক্ষ মাঝিকে দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়া আরও বেশ কিছু দিক চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত চলমান রয়েছে। সবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ বিষয়টি জানা যাবে।

গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বোদা উপজেলার আউলিয়ার ঘাটে শতাধিক সনাতনধর্মীদের পূণ্যার্থী নিয়ে একটি নৌকা করতোয়া নদী পার হয়ে বদ্বেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিল। নৌকাটি নদীর মাঝে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শিশুসহ তিনজন। ঘটনার ওইদিনই পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়কে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও পরে আরও তিন কর্মদিবস সময় বাড়ানো হয়। রোববার তারা প্রতিবেদন জমা দেন। অপরদিকে মরদেহের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।

মৃত ৬৯ জনের মরদেহ মধ্যে ৩০ জন নারী, ১৮ পুরুষ ও ২১ শিশু রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ৪৫ জন, আটোয়ারী উপজেলার ২ জন, দেবীগঞ্জ উপজেলার ১৮ জন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩ জন এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১ জন রয়েছেন।

নিখোঁজ তিনজন হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর হাতিডুবা গ্রামের মদন চন্দ্রের ছেলে ভুপেন ওরফে পানিয়া (৪০), বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের সরেন্দ্রনাথ (৬৫) এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাটিয়ারপাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথের মেয়ে জয়া রানি (৪)।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।