ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন উৎসবের সমাপ্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২২
কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন উৎসবের সমাপ্তি

কক্সবাজার: নাচ গান আর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কক্সবাজারের সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভাল। সৈকতের লাবনী পয়েন্টে হাজারো দর্শনার্থীদের পদভারে মুখর ছিল উৎসবের শেষ দিন।

সোমবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে সৈকতের উন্মুক্ত আকাশে আতশবাজি ফুটানোর মধ্যদিয়ে আয়োজনের শেষ হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানের অন্যতম স্পন্সর ছিল দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

এবারের পর্যটন মেলায় বসেছে ২০০টির মতো স্টল। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল সেগুলো।

আয়োজকেরা বলছেন, দেশের সবচেয়ে বড় এ পর্যটন মেলা মানুষের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এটি দেশের পর্যটন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন সম্ভাবনাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে এ আয়োজন। সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে মেলা শেষ হয়েছে। সবার সহযোগিতা ও আন্তরিকতা ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সূত্র জানায়, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ৭ দিন মেলা চলেছে। মেলা উপলক্ষে সড়কের দু’পাশের ফুটপাতে নির্মাণ করা হয়েছে দু’শ স্টল। এছাড়া লাবনী পয়েন্টের বালিয়াড়িতে নির্মিত হয়েছে ৩০টি স্টল। মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মেলার স্টলে ঠাঁই পেয়েছে- গার্মেন্টেস কাপড়, চকলেট, আচার, পান, চা, আমড়া, হোটেলের তৈরি নানা ধরনের নাস্তা, জুসবার, শুটকি ও সামুদ্রিক মাছ ভাজাসহ হরেক রকম ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, এ রকম আয়োজন পর্যটন খ্যাতে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। সবার সহযোগিতা পেলে  প্রতিবছর পর্যটন দিবসে এ উৎসব আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, মেলার শেষ দিন প্রচুর পর্যটকের উপস্থিতি ছিল। বিকেলের দিকে সৈকতের ৫টি পয়েন্টে প্রায় লাখের মতো পর্যটক ছিল। মেলাতেও অনেক দশনার্থী ছিল। হোটেল মোটেল ও ফুডের উপরে দেওয়া অফার ভালোভাবে গ্রহণ করেছে আগতরা।

গতকাল শেষ দিনে উৎসবে সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আঁখি আলমগীর। পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীরা অংশ নেন।

এর আগে, মেলার সমাপনী দিনে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন- শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

আরও উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আ. লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, জেলা জাসদের সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ, বিচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সদস্য রেজাউল করিম, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র জোনাল ম্যানেজার মো. আবু হেনাসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২২
এসবি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।