ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘আলেশা মার্ট’ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নীলফামারী আদালতে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২২
‘আলেশা মার্ট’ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নীলফামারী আদালতে মামলা

নীলফামারী: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান 'আলেশা মার্ট' এর চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের বিরুদ্ধে নীলফামারীতে চেক ডিজঅনার মামলা করা হয়েছে।

রোববার (০২ অক্টোবর) নীলফামারী বিজ্ঞ আমলি আদালত নম্বর-০১ এ মামলাটি করেন প্রতারণার শিকার জেলা শহরের শহীদ তিতুমীর সড়ক এলাকার বাসিন্দা সাকিব উল ইসলাম।

মামলা সুত্রে জানা যায়, গেল বছরের ২০ জুন অফারে প্রলুদ্ধ হয়ে আলেশা মার্ট থেকে একটি পালসার মোটরবাইক কেনার জন্য ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৪৫টাকা পরিশোধ করেন সাকিব। ৪৫ দিনের মধ্যে বাইকটি ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পার হয়ে গেলেও বাইক ডেলিভারি দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

সাকিবের জমা দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমের সঙ্গে দেখা করলে তিনি সাকিবকে এক লাখ ৬৩ হাজার টাকার চেক স্বাক্ষর করে দেন। কিন্তু চেকটি অগ্রণী ব্যাংক নীলফামারী শাখায় কয়েক দফা জমা করেও ওই হিসাব নম্বরে টাকা না থাকায় সেই টাকা উত্তোলন করা যায়নি। এক পর্যায়ে গত ২৪ জুলাই চেকটি নীলফামারী অগ্রণী ব্যাংক থেকে ডিজঅনার হিসেবে ফেরত দেওয়া হয় সাকিবের কাছে।

পরে আলেশা মার্ট চেয়ারম্যানের কয়েকটি বাণিজ্যিক দফতরে উকিল নোটিশ পাঠানো হলে মাত্র একটি গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের নাসির নামে এক ব্যক্তি। বাকিগুলো ফেরত আসে। তাই বাধ্য হয়ে প্রতারণার শিকার সাকিব নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় নীলফামারী আদালতে মামলা করেন।

সাকিব উল ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তির ছবি দেখা গিয়েছিল। গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছিল। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর হিসেবে দেখা গেছে অথচ তারা গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমিও এটির শিকার হয়েছি। আমি আর মোটরবাইক চাই না, আমার টাকা ফেরত চাই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে মামলা করেছি।

মামলার আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রিনো জানান, মামলা হওয়ায় বিবাদীর প্রতি সমন নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে আদালত থেকে। নোটিশ গ্রহণ করলে তাকে আদালতে হাজির হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এনআই অ্যাক্টে সর্বোচ্চ এক বছর সাজা এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে।

এ বিষয়ে আলেশা মার্টের হটলাইন নম্বর ১৬৭৩১ এ কয়েক দফা চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।