ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন শেখ হাসিনা

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশকে পরিপূর্ণতা দিয়েছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা৷

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে শুধু অর্থনৈতিকভাবেই দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও পুনরুজ্জীবিত করেছেন। তাই আজ শুধু শেখ হাসিনার জন্মদিন নয়, একটি জাতির পুনরুজ্জীবনেরও দিন।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের নেতারা এ সব কথা বলেন ৷ 

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সভাপতির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা চাপা দিয়ে শেখ হাসিনা ঝড়, বৃষ্টি আঁধার রাতে ফিরে এসেছিলেন। তাঁর সুদক্ষ পরিচালনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করছেন। আজ পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বলা হয় পাকিস্তানকে সুইজারল্যান্ড নয়, বাংলাদেশ বানিয়ে দাও ৷

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগে নয় ১৭ কোটি মানুষের শক্তি এবং সম্পদ। তিনি দেশকে অন্ধকার থেকে উদ্ধার করতে দেশে ফিরে এসেছিলেন। দেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যা সারা বিশ্বে নন্দিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে উন্নত, সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করেছেন। সারা পৃথিবীতে তিনি মানবতার মা হিসেবে প্রশংসিত।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন সারথির নাম শেখ হাসিনা। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তিনি নিজের জীবনের সবটুকু সময় দিয়েছেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানিদের হাতে চলে গিয়েছিল। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা অনেক কষ্টের সাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। দেশে ফিরে বাঙালিকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। বাঙালির মুক্তির সনদ নিয়ে এখনো তিনি সামনের দিকে ছুটে যাচ্ছেন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক ৷ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি, পারবে না। কারণ শেখ হাসিনাকে দেশের মানুষ ভালোবাসে।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সততা, নিষ্ঠার বলিষ্ঠ, সাহসিকতার উদাহরণ। আমাদেরকে সম্মানের জায়গায় বসিয়েছেন। বাঙালি জাতিকে বিশ্ববাসীর কাছে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আগমনের মধ্য দিয়ে বাঙালি উজ্জীবিত হয়েছিল। শেখ হাসিনার জন্মদিন একটি জাতির পুনরুজ্জীবনেরও দিন ৷

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি।  

সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

বাংলাদেশ সময় ২২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
এসকে/এএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।