ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রহিমা বেগম উদ্ধারের ঘটনায় আটক ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
রহিমা বেগম উদ্ধারের ঘটনায় আটক ৩ রহিমা বেগম

ফরিদপুর: নিখোঁজ হওয়ার ২৯ দিন পর খুলনার আলোচিত রহিমা বেগমকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রাম থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়েছিলেন।

বোয়ালমারীর যে বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই বাড়ির মালিক (৭০) কুদ্দুস মোল্যা ২৫/৩০ বছর আগে খুলনার মিরেরচর এলাকায় অবস্থিত সোনালী জুট মিলে কাজ করতেন। তখন রহিমা বেগমের বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন।  

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুদ্দুস মোল্যার পরিবারের তিন সদস্যকে আটক করে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  

কুদ্দুস মোল্যার ভাগ্নে জয়নাল খান বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রহিমা বেগম নামের ওই নারী মামার (কুদ্দুস মোল্যা) বাড়িতে এসে আশ্রয় চান। এরপর গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইউটিউবে ওই নারীর ছবিসহ নিখোঁজ হওয়ার একটি সংবাদ দেখি। বিষয়টি মামাতো ভাই আল আমিনকে (কুদ্দুস মোল্যার ছোট ছেলে) জানালে সে রহিমা বেগমের বড় ছেলে মিরাজের মোবাইল ফোনে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন ধরেন তার স্ত্রী। তিনি বিরক্ত প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে আর ফোন দিতে নিষেধ করেন। পরে বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনকে জানাই। তিনি খুলনার পুলিশ কমিশনারকে জানালে শনিবার রাতে খুলনা থেকে একদল পুলিশ এসে রহিমা বেগমকে নিয়ে যায়।  

জয়নাল খান আরও জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে কুদ্দুস মোল্যার স্ত্রী হীরা বেগম (৬০), তার ছোট ছেলে আল আমিন (২৫), কুদ্দুস মোল্যার ভাই আবুল কালামের স্ত্রী রেহেলা বেগমকে (৪৫) আটক করে তাদের সঙ্গে খুলনা নিয়ে গেছে।  

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। কিন্তু এক ঘণ্টা পরও তিনি বাসায় না ফেরায় তাঁর সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নলকূপের পাশে তাঁদের মায়ের জুতা, ওড়না ও পানির পাত্র পড়ে থাকলেও মাকে তাঁরা খুঁজে পাননি। এ ঘটনায় ওই রাতেই রহিমা বেগমের ছেলে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন তাঁর মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ ছাড়া বিষয়টি র‌্যাবকেও জানানো হয়। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন সন্তানেরা।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল ওহাব বলেন, খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।