ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঝালকাঠি থানায় যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
ঝালকাঠি থানায় যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু

ঝালকাঠি: ঝালকাঠি থানায় গিয়ে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাজেশ রায় (২২) নামে মাদকাসক্ত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠি থানায় এ ঘটনা ঘটানোর পরে হাসপাতালের পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত রাজেশ পুর্বচাঁদকাঠি এলাকার অমল রায়ের ছেলে।

নিহতের বাবা ও স্থানীয়রা জানান, রাজেশ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। তাকে কয়েকবার মাদকাশক্ত নিরাময় কেন্দ্রে সংশোধনের জন্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনো কিছুতেই তাকে আশক্তির পথ থেকে ফেরানো যাচ্ছিল না। এর মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নেশার টাকার জন্য উত্তেজিত হয়ে তিনি তার বাবাকে বটি (দা) নিয়ে কোপাতে যান। পরে প্রতিবেশিরা গিয়ে তার বাবাকে উদ্ধার করলে তিনি নিজেই ওই বটি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।

এর পর ৯৯৯ কল দিলে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজেশকে থানায় নেয়। থানা কম্পাউন্ডের মধ্যে নারী ও শিশু ডেস্ক কক্ষে রাখা হলে ওর জন্য রুটি কলা আনতে যায় বাবা অমল। এ সময় প্রহরার দায়িত্বে থাকা মহিলা সেন্ট্রি চিৎকার শব্দ পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখা যায় রাজেশ তার লুঙ্গি ছিড়ে গলায় পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ও রাজেশের নিকটাত্মীয়রা সিলিং ফ্যান থেকে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে হাসাপাতালে নেওয়ার সময়ে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা ধারণা করছেন যে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে।

অমল রায় আরও জানান, আমার ছেলে রাজেশ আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মাদকাসক্ত রাজেশকে থানায় আনা হলে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি পথেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।