ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

না:গঞ্জ থেকে পঞ্চগড়ে ডেকে প্রেমিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
না:গঞ্জ থেকে পঞ্চগড়ে ডেকে প্রেমিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

পঞ্চগড়: মোবাইল ফোনে পরিচয়, অতঃপর প্রেম। ৯ মাসের প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিকের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাবে নারায়ণগঞ্জ থেকে পঞ্চগড়ে দেখা করতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী (২১)।

 

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে একই দিন রাতে অভিযুক্ত ৪ আসামির মধ্যে প্রতারক প্রেমিকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায়। এর আগে গত শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার প্রসাদ খাওয়া গ্রামে।

আটক আসামিরা হলেন- বোদা উপজেলার সিপাহীপাড়া গ্রামের মহিদুলের ছেলে প্রধান আসামি প্রতারক প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৪) ও বামনপাড়া গ্রামের শাসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২)। তবে এ ঘটনায় ২ নম্বর আসামি প্রসাদ খাওয়া গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে আপন (২৫) ও ৩ নম্বর আসামি মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০) পলাতক রয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৯ মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও মগরাপাড়া এলাকায় ওয়াই ফাই কল সেন্টারে চাকরি করা অবস্থায় মোবাইল ফোনে ওই কিশোরীর পরিচয় হয় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার প্রতারক প্রেমিক আব্দুল মালেকের সঙ্গে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মাঝে মালেক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পঞ্চগড়ে আসতে বলে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গত শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় আসে ওই তরুণী। এ সময় প্রেমিক মালেক আসামি আলমগীরের ইজিবাইকে করে তাকে প্রসাদ খাওয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৬৫) নামে এক নানার বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় প্রতারক প্রেমিকের বন্ধুরা বাড়িতে উপস্থিত ছিল। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় বিষয়টি সন্দেহ হয় তার। সে নারায়ণগঞ্জ ফিরে যাবে বলে বের হয়ে যায়। এরই মধ্যে প্রেমিক মালেক, আপন ও আশরাফুলকে কাজীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে একটি আম বাগানে গেলে প্রমিকসহ অপর তিনজন তার হাত-মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের কয়েকজন লোক এগিয়ে এলে প্রমিকসহ ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বোদা থানা পুলিশকে অবহিত করে। রাতেই এজাহার দায়ের করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী তরুণী।

ওসি সুজয় কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার দিনেই থানায় অভিযোগ পেয়ে প্রধান আসামি প্রেমিক আব্দুল মালেক ও আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।