ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাসায় দেখতে গিয়ে নবজাতককে চুরি করেন দম্পতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
বাসায় দেখতে গিয়ে নবজাতককে চুরি করেন দম্পতি উদ্ধার হওয়া নবজাতক।

ঢাকা: ‘পূর্ব পরিচিত একজনের নবজাতককে দেখতে তাদের বাসায় যান শাহিদা বেগম ও সোহেলরানা দম্পতি। সুযোগ বুঝে সেই নবজাতককেই চুরি করে পালিয়ে যান তারা।

এরপর নবজাতকের মা-বাবার কাছে দাবি করা হয় ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ। কিন্তু নবজাতকটির দিনমজুর বাবা-মায়ের পক্ষে মুক্তিপণের এতো টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। নিরুপায় হয়ে তারা দ্বারস্ত হন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৪) এর কাছে। এরপর বিষয়টি তদন্তের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থেকে চুরি যাওয়া নবজাতকটিকে উদ্ধারসহ গ্রেফতার করা হয় শাহিদাকে (২৬)। ’

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ঢাকার সাভারের বাসিন্দা শ্রমজীবী শামসুন্নাহার-মোহাম্মদ বাদল দম্পতির ২ সেপ্টেম্বর একটি ফুটফুটে ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তারা নবজাতককে নিয়ে নিজেদের সাভার রাজ ফুলবাড়িয়া রাজারহাট এলাকার ভাড়া বাসায় চলে যান। ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই দম্পতির পূর্ব পরিচিত শাহিদা বেগম ও সোহেলরানা দম্পতি তাদের বাসায় নবজাতকটিকে দেখতে যান। মা শামসুন্নাহার নবজাতকটিকে শাহিদার কোলে দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের জন্য রান্নাঘরে যান। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহিদা ও সোহেলরানা চারদিনের নবজাতকটিকে চুরি করে দ্রুত পালিয়ে যান। র‌্যাবের কবজায় শাহিদা বেগম। ভিকটিমের মা রান্নাঘর থেকে এসে তাদের দেখতে না পেয়ে তার স্বামীকে খবর দেন। পরে তারা বিভিন্ন এলাকায় ওই দম্পতির খোঁজ করেন। একপর্যায়ে সোহেলরানা ভিকটিম নবজাতকটির মা শামসুন্নাহারকে জানায়, নবজাতকটি তার স্ত্রী শাহিদার হেফাজতে সিরাজগঞ্জে আছে এবং শিশুটিকে ফেরত পেতে হলে তাদেরকে নগদ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।

শামসুন্নাহার ও বাদল দম্পতি দিনমজুর হওয়ায় তাদের পক্ষে এতো অর্থ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এ অবস্থায় ভিকটিম শিশুটির মা র‌্যাব-৪ এর অভিযোগ করেন। পরে র‌্যাবের তদন্তের ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধারসহ শাহিদাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিদা মোটা অংকের মুক্তিপণের জন্য ভিকটিম নবজাতকটিকে অপহরণ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।