ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ‘মায়ের কান্না’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ‘মায়ের কান্না’

বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে হাজার হাজার মানুষ খুন, গুম, ধর্ষণ, বোমা হামলা ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশ ‌‘মায়ের কান্না’ ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

এরপর একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয় । বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

সমাবেশে উপস্থিত অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন,  জিয়াউর  রহমান ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন আইএসআই কর্মকর্তা। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।  জিয়াউর রহমানের সময় কত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে তার কোনো হিসেব নেই।   তার উত্তরসূরিরা আজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

তিনি আরও বলেন,  জিয়াউর রহমান একজন খেতাবপ্রাপ্ত তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা। তবুও আপনারা কেউ কখনোই প্রমাণ করতে পারবেন না যে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাসে একটি গুলিও ছুড়েছিলেন।

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে- বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা, অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদেরকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।
 
১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যার অপরাধে জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতে হবে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আন্দোলনের নামে সমগ্র দেশে আগুন দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অপরাধে বিএনপির রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধসহ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

জঙ্গিবাদ, অগ্নি সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্ষণ ও বোমা হামলার মদদদাতা বিদেশে পলাতক আসামি তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমানুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, পূর্ণিমা রাণী শীল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২
ইআর

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।