গাজীপুর: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে সেটা পেরেছি।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্যকোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। ডাকের অন্যান্য গাড়িতে চিলিং ভ্যান ও হিমায়িত খাদ্য পরিবহণে ট্রেনে চিলিং বগি চালু করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর জেলা সদরে নির্মাণাধীন প্রধান ডাকঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় পোস্টমাস্টার জেনারেল ফরিদ আহমেদ, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাসরিন পারভিন ও ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, হিমায়িত খাবার কৃষকের ফল, সবজি পরিবহন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডাকঘরের বিকল্প নেই। ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের কার্যক্রম শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ এসএমএস, মেইল, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোতে দেশ-বিদেশে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলে। এগুলো আমাদের জন্য প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছি। ইতোমধ্যে ১৪টি শর্টিং সেন্টার নির্মাণ ও ডিজিটাইজ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথের নকশা তৈরি সম্পন্ন হচ্ছে। ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে। ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নীত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
আরএস/এনএইচআর